পুরুষের চেয়ে নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি কেন?

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-05-15 15:19:50
পুরুষের চেয়ে নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি কেন?

পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে ভোগেন|

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদরোগজনিত জটিলতার কারণে মারা যায়। যার একটা বড় অংশ নারী। গবেষণা বলছে, পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে ভোগেন। যা খুবই উদ্বেজনক। নারীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কেন বেশি তা জানিয়েছেন ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গৌরব মিনোচা।

নারীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকির প্রবণতা বেশির কারণ জানাতে গিয়ে ডা. গৌরব মিনোচা বলেন, পুরুষের মতো নারীদের মধ্যে হৃদরোগ সাধারণ সমস্যা। তবে বেশিরভাগ নারীই তা বুঝতে পারেন না। এ কারণে অনেকে দেরীতে চিকিৎসকের কাছে যান। কারণ হিসেবে তিনি যে বিষয়গুলোকে উল্লেখ করেছেন-

সচেতনতার অভাব

হৃদরোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল সচেতনতার অভাব। এর জন্য পুরুষ নারী সবাই ঝুঁকিতে আছেন। মায়োক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কেউ কেউ হৃদরোগকে পুরুষদের জন্য বেশি সমস্যা বলে মনে করে কারণ নারীদের কিছু হৃদরোগের লক্ষণ পুরুষদের চেয়ে আলাদা। নারীদের মধ্যে অনেকেই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানেন না।

লক্ষণ অস্বাভাবিক মনে হওয়া

নারীদের হৃদরোগের লক্ষণ পুরুষের চেয়ে আলাদা, যা কারও কারও কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। ডা.মিনোচার ভাষায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে নারীরা বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব নাও করতে পারেন। নারীদের মধ্যে লক্ষণগুলি কারও কারও কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। বুকে ব্যথা না করলেও অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

উপসর্গ না বোঝা

হৃদরোগে আক্রান্ত হলে নারীদের মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো-বুক ভারী হওয়া, শ্বাসকষ্ট, অস্থিরতা বা উদ্বিগ্নতা এবং আতঙ্কিত বোধ করা, হাত বা কাঁধে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা, পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব ইত্যাদি। কিন্তু এ লক্ষণগুলো অন্যান্য শারীরিক সমস্যাতে দেখা যায়, এ কারণে নারীরা হৃদরোগের উপসর্গ অনেক সময় বুঝতে পারেন না।

অবহেলা

বেশিরভাগ নারীই নিজেদের সমস্যা চাপা দিয়ে রাখেন। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দেরি না হওয়া পর্যন্ত তাদের মধ্যে সমস্যাকে উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা যায়। আর্থ-সামাজিক কারণেও নারীদের নিজের সমস্যা উপেক্ষা করতে দেখা যায়।

অন্যান্য

আরও কিছু কারণ রয়েছে যা নারীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ, ধূমপান, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, মেনোপজ, গর্ভাবস্থার জটিলতা, হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং লুপাসের মতো প্রদাহজনক রোগ নারীদের মধ্যে হৃদরোগের জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।


আরও দেখুন: