রমজানের কিছু অভ্যাস, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া ও হঠাৎ কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠায় ঘরে ঘরে বাড়ছে লিভারের রোগে আক্রান্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের কিছু ভুলের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ।

রক্ত থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে লিভার। তাই লিভার সচল রাখতে কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষ করে কয়েক ধরনের খাবার ক্ষতি করতে পারে লিভারের। অনেকের ধারণা, লিভারের ক্ষতি এড়াতে চাইলে মদ্যপান না করা শ্রেয়। তবে এ ছাড়াও বেশ কিছু খাবারে লাগাম টানতে হবে। সেগুলো হলো–

> কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ়ের মতো বেক করা খাবার লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। সকালের নাস্তায় অনেকেই পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে খান। চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এই ফ্যাট নিয়মিত লিভারে গেলে ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে এগুলো একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে পরিমাণের ওপর লাগাম না টানলে মুশকিল।

> শুধু পাউরুটিতে নয়, বাইরের ভাজাপোড়া, তেল-মশলাদার, চপ-কাটলেটের মতো খাবারেও ভরপুর ফ্যাট থাকে। নিয়মিত এ ধরনের খাবার পেটে গেলেই ফ্যাটি লিভারসহ আরও নানা ধরনের লিভারের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।

> নিয়মিত মদ্যপান লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। লিভার সুস্থ রাখতে তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলা একান্তই জরুরি। তবে সোডাযুক্ত পানীয়, নরম পানীয়ও কিন্তু লিভারের অসুখ ডেকে আনে। যারা মদ্যপান করেন না, তারা পার্টিতে গিয়ে এসব পানীয়তে চুমুক দেন। এতেও কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছে না বরং ক্ষতি হচ্ছে লিভারের।

> মাত্রাতিরিক্ত হারে চিনি খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। সরাসরি চিনি খাওয়া তো ক্ষতিকর বটেই। এ ছাড়া চিনি আছে এমন কোনো খাবার, যেমন, মিষ্টি, ক্যান্ডি, চকোলেট নিয়মিত খেলে পরবর্তীতে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

> প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ময়দা থাকেই। ময়দার রুটি, লুচি, পরোটা কিংবা রোল, চাউমিন– এসব খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসেন। কিন্তু লিভারের জন্য এগুলো মোটেও ভালো নয়। ময়দার তৈরি কোনো খাবার বেশি খাওয়া ভালো নয়। ময়দা দিয়ে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবারও লিভারের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। তাই ময়দার তৈরি খাবার বেশি এবং প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো।