রোজায় কখন সুগার পরীক্ষা করা উচিত এবং ডায়াবেটিস রোগী কখন রোজা রাখতে পারবেন না
রোজায় কখন সুগার পরীক্ষা করা উচিত এবং ডায়াবেটিস রোগী কখন রোজা রাখতে পারবেন না- লিখেছেন ডা. আমির হামজা
রোজার মধ্যে একজন ডায়াবেটিস রোগীকে কয়েকদিন পর পর কমপক্ষে তিন বেলা সুগার পরীক্ষা করতে হবে। যেমন সেহরীর আগে, ইফতারির আগে এবং ইফতারের দুই ঘন্টা পরে। সেহরি এবং ইফতারের আগে সুগারের পরিমাণ ৭ mmol/L এবং ইফতারের দুই ঘন্টা পরে ১০ mmol/L এর মধ্যে থাকা উচিত।
এছাড়াও এর বাইরে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুগার পরিমাপের দরকার হতে পারে। মনে রাখতে হবে রক্ত দিয়ে সুগার পরীক্ষা করলে রোজা ভাঙ্গে না।
একজন ডায়াবেটিক রোগী কখন রোজা ভেঙে ফেলতে পারবে ?
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৪ এবং ১৮৫ নম্বর আয়াতে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা ছাড়ের ব্যাপারে বলেছেন। আন্তর্জাতিক ডায়বেটিস ফেডারেশন এবং মিশরের আলেম সংগঠন একত্রিত হয়ে যে মতামত দিয়েছেন সেটা হল একজন ডায়াবেটিক রোগী নিম্নলিখিত অবস্থায় রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারবে :
- শরীর অতিরিক্ত খারাপ লাগলে
- সুগার পরীক্ষা করে ৩.৯ অথবা ১৬.৬ এর বেশী পাওয়া গেলে
- ডায়াবেটিক গর্ভবতী মা তার বাচ্চার নড়াচড়া কম মনে করলে
এক্ষেত্রে পরবর্তীতে রোগীকে কাজা রোজা আদায় করে নিতে হবে।
তবে দুপুরের পরে অথবা ইফতারির অল্প কিছুক্ষণ সময় বাকি আছে এমন সময় যদি সুগার ১৬.৬ mmol/L এর কিছু বেশি পাওয়া যায় এবং রোগীর সেরকম কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে রোগী ইফতারি পর্যন্ত রোজা চালিয়ে যেতে পারে।
রমজান পরবর্তী পর্যবেক্ষণ :
একজন ডাইবেটিক রোগী রমজানের পরে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবার ঔষধ অথবা ইনসুলিন নতুন করে সাজিয়ে নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
যে কোন পরিস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
ডা. আমির হামজা
পরিচালক (একাডেমিক),
সেন্টার ফর ক্লিনিক্যাল এক্সিলেন্স এন্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ
সাবেক আরএমও, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগ, এভারকেয়ার হসপিটাল লিঃ