পানি শূন্যতায় হতে পারে কিডনি বিকল, করণীয়

মানতাসা তাসনিম
2022-06-24 19:14:40
পানি শূন্যতায় হতে পারে কিডনি বিকল, করণীয়

নানা রমক ফলের জুস খেতে পারেন, ডাবের পানি খেতে পারেন।

এই গরমের ডিহাইড্রেশন এড়াতে আমরা কি করবো?

আমরা যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করছি বা যতটুকু পান করছি তার চেয়ে অনেক বেশি ইউরিনের মাধ্যমে বের হয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূণ্যতার শিকার হচ্ছি। এছাড়া ডিহাইড্রেট হলে বমি, মাথাব্যথা, অবসাদ দেখা দেয়। তারপর ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাও কিন্তু আমরা দেখে থাকি।

সুতরাং অবশ্যই এই গরমে চেষ্টা করব খাবারের মাধ্যমে ডিহাইড্রেট থাকার এবং যতটা রোদ পরিহার করে চলা যায়। চেষ্টা করব ঘরের ভিতরে থাকতে। যদি কোন কাজকর্ম না থাকে যতটা কম আমরা বাইরে যেতে পারি, তত ভাল।

ডিহাইড্রেশনের ফলে আমাদের শরীরে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকেঃ

আমরা ইউটিআই বা ইউরিন ইনফেকশনের মতো সমস্যায়ও ভূগে থাকি। যেটা এক সময় দেখা যায় আস্তে আস্তে কিডনীর রোগের দিকে চলে যায়। এছাড়া ডায়রিয়া, লুজমোশান, মাথাব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা, অলসতা, শরীরে অবসাদ, ক্লান্তিবোধ এ ধরনের সমস্যা কিন্তু আমরা ডিহাইড্রেশন থেকে পেয়ে থাকি।

ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে করণীয়ঃ

এই গরমে পানিশূণ্যতা প্রতিরোধ করতে আমাদের কমপক্ষে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। আমরা যারা বেশি রোদে যাচ্ছি বা আমাদের অনেক ঘাম হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে তিন লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে। আর যারা আমরা মোটামুটি ডেস্ক জব বা অফিশিয়াল জব করি সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে দুই আড়াই লিটার পানি পান করতে পারেন।

এছাড়া আপনি চাইলে যেকোন জুস খেতে পারেন।  নানা রমক ফলের জুস খেতে পারেন, ডাবের পানি খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চিনির ব্যবহারটা কম করতে হবে। আজকাল বাজারে অনেক শরবত পাওয়া যায়। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল না। সুতরাং চেষ্টা করবেন যতটা পরিহার করে চলা যায়।

এছাড়া খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে আমরা যদি একটু কম মশলা দিয়ে, অল্প তেল দিয়ে একটু ঝোল করে রান্না করি এটাও কিন্তু আমাদেরকে পানিশূণ্যতা থেকে রক্ষা করে থাকে। যে সবজিগুলোতে অনেক বেশি পানি থাকে (বিশেষ করে লাউ, চাল কুমড়া, চিচিঙ্গা, পেঁপে) এই জাতীয় খাবারগুলো আমরা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি।

এছাড়া যে কোনো ফলে অনেক ভালো ওয়াটার কনটেন্ট থাকে। আমরা অবশ্যই দৈনিন্দন খাদ্যতালিকায় ফল খাব, খাওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া চা-কফি যেহেতু যতটা লিমিটেডের মধ্যে খাওয়া যায় তত ভাল।

অনেকে আছে আমরা ৪/৫ কাপ চা-কফি খেয়ে ফেলি। সেটার চেষ্টা করতে হবে যতটা পরিহার করে চলা যায়। দিনে এক থেকে দুই কাপ এর বেশি না এবং অনেকে গ্রীন টি খেয়ে থাকেন। গ্রীন টি কিন্তু আমাদের শরীরে অনেক বেশি  পানিশূণ্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে বলবো, যারা গ্রীন টি খান তারা চেষ্টা করবেন অবশ্যই পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি খেতে।

মানতাসা তাসনিম
সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট
শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল


আরও দেখুন: