শ্বাসকষ্ট কেন হয়, কী করবেন
একটি টিনেজার গ্রুপ আছে, যারা দুশ্চিন্তা অ্যাংজাইটি থেকেও শ্বাসকষ্টে ভোগেন
আমাদের দেশে অ্যাজমা, ধুমপানজনিত রোগ সিওপিডি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিস, হার্ট ফেইলিওর ছাড়াও শ্বাসকষ্টের বহু কারণ রয়েছে।
যদি কারও কিডনি ফেইলিওর হয় তখন তার শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হলেও শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা থাকে। ক্যান্সারের কারণেও শ্বাসকষ্ট হয়।
ফুসফুসে পানি জমে অথবা ফুসফুসের পর্দা আছে, সে পর্দায় পানি বা বাতাস জমলে তখনো শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে কার কি কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তার সঠিক হিস্ট্রি নেওয়ার পর চিকিৎসা দিতে হবে।
শ্বাসকষ্ট হলে অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। তবে বেশি হলে ইনহেলার নিতে হয়। দিনে দুবার নিলেই হয়। শ্বাসকষ্ট রোগীরা সাধারণত অক্সিজেন নিয়ে থাকেন। অক্সিজেন, ইনহেলার এগুলো ফুসফুসে যায় এবং ফুসফুস থেকে বেরিয়ে যায়। এগুলো পাকস্থলিতে যায় না।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হঠাৎ করে কারও শ্বাসকষ্ট হয় না। এটি একটি করণিক প্রসেস বা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ হলো অ্যাজমা, সিওপিডি। এ রোগে আক্রান্তরা অনেকদিন ধরে অল্প অল্প করে ভুগতে থাকে। যারা দীর্ঘদিন ধরে এ রোগে ভুগছেন, তাদের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
বিভিন্ন ধরনের স্যালিসাইলিক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলেও শ্বাসকষ্ট হয়। আবার একটি টিনেজার গ্রুপ আছে, যারা দুশ্চিন্তা অ্যাংজাইটি থেকেও শ্বাসকষ্টে ভোগেন। তাদের এনজিও লাইটিক ওষুধ দিলে ভালো হয়ে যায়। তবে কারও ক্ষেত্রে যদি কিছুদিন ধরে জ্বর-কাশি থাকার পর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই করোনার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসা নিতে হবে।
লেখক: ডা. শামীম আহমেদ
সহযোগী অধ্যাপক ও বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ