রোজায় ইনসুলিন কখন নিতে হবে
রোজার আগে যেসব ওষুধ তিনবার খাওয়া লাগতো, রোজা রেখে সকাল এবং দুপুরের ওষুধ যোগ করে ইফতারে সেবন করতে হবে
ভোরে সাহরি করার আগে ঘুম থেকে জেগে ডায়াবেটিস পরিমাপ করতে হবে। সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এরপর বেলা ১১ অথবা দুপুর ১২টা ও বিকেল ৪টার দিকে পরিমাপ করতে হবে।
এরপর ইফতারের দুই ঘণ্টা পর ও একইভাবে সাহরির আগে নিয়ম করে ডায়াবেটিস পরিমাপ এবং ওষুধ সেবন করতে হবে। যাদের ইনসুলিন নিতে হচ্ছে, তারা রাতে নিলে সমস্যা নেই। এমনকি দিনে নিলেও রোজা ভাঙবে না। রোজা রেখে করোনার টিকা নিলেও কোনো সমস্যা হবে না।
ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে, আগে যে ওষুধ সকালে খেতেন, রোজার সময় সেটি ইফতারের সময় খেতে হবে। আর যে ওষুধ আগে রাতের বেলায় খেতেন, সেটি সাহরির সময় খেতে হবে।
রোজার আগে যেসব ওষুধ তিনবার খাওয়া লাগতো, রোজা রেখে সকাল এবং দুপুরের ওষুধ যোগ করে ইফতারে সেবন করতে হবে। রাতের ওষুধ শুধু সাহরির সময় খেলেই হবে। ইনসুলিনের ক্ষেত্রেও আগে সকালে যেটি নিতেন, সেটি ইফতারের সময় নিতে হবে।
গরমে রোজা ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা হচ্ছে। ফলে খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের ইফতারে ৩০-৩৫ শতাংশ খাবার খেতে হবে। রাতে ১০-২০ এবং সাহরির সময় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ খাবার খেতে হবে।
রোজায় পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এজন্য ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলীয় খাবার খেতে হবে। শরবত ও ফলের রস খেতে হবে। খেজুর অথবা জিলাপির যেকোনো একটি খেতে পারবেন। সেমাই, পায়েস খেলে খেজুর অথবা জিলাপি খাওয়া যাবে না। বেগুনি-পেঁয়াজু যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
সাহরির সময় সুষম খাবার খেতে হবে। যাদের হজমে সমস্যা নেই, তারা দুধ খেতে পারেন। শাকসবজি ও মাছ-মাংস সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা শুরুর তিন মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিলে ভালো হয়। রোজার সময় যাতে সুগার খুব বেশি কমে না যায় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।