রোজায় বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে ৭ উপায়

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-04-16 14:20:07
রোজায় বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে ৭ উপায়

গ্যাস্ট্রো ইসোফিগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ

রমজানে আমাদের স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। প্রতিনিয়ত আমাদের চেম্বারে একটা বিশাল অংশ দখল করে থাকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে আসা রোগীরা এবং সবারই একটাই সমস্যা। রোজা রাখতে পারি না, বুক জ্বালাপোড়া করে, অস্থির লাগে, শ্বাসকষ্ট হয় এমনকি অনেক সময় পেট ব্যথা নিয়ে ইমার্জেন্সিতে এসে ভর্তি হওয়া লাগে।

সবার আগে আমাদের গ্যাস্ট্রিক কী এ সম্বন্ধে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিৎ। কারণ অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক বলতে আমরা যা মনে করি গ্যাস্ট্রিক আলসার এটা আসলে তা না। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয় আমাদের এসিডটি উপরের দিকে রিফ্লাক্স হয় এবং এর কারণে আমাদের একটু বুক জ্বালাপোড়া করে, একটু অস্থির অস্থির লাগে। একে আমরা বলি, জার বা গ্যাস্ট্রো ইসোফিগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ। আমাদের খাদ্য অভ্যাসের জন্য এমন হয়। আমাদের জীবনযাপনের সাথে এটি জড়িত এবং আমাদের ভুল ধারণার সাথে জড়িত।

তাই অনেক সময় দেখা যায় সারাক্ষণ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাচ্ছি অথবা অনেক অযথা ওষুধের দিকে ধাবিত হচ্ছি। কিন্তু অভ্যাস কিছুটা পরিবর্তন করলে অথবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে আমরা এই রমজানে তো অবশ্যই এবং বছরের অন্য সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারি। যেমন- যাদের এই সমস্যাটা আছে বুক জ্বালাপোড়া করে অথবা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি তাদের অন্যতম একটা সমস্যা  খাদ্যাভ্যাসের ভুল প্রয়োগটা।

অধিকাংশ সময়ে প্রচুর ভাজা-পোড়া খায়, বিশেষ করে রমজান মাসে।  এই ভাজা-পোড়ার অধিকাংশই আমরা স্ট্রিটফুড বা বাজার থেকে কেনা খাবার নিয়ে আসি। স্ট্রিটফুড বলেন অথবা হোটেলের খাবার বলেন কিংবা বাজারের জনপ্রিয় খাবারগুলোই বলেন, এগুলো অধিকাংশই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি।

অনেকদিনের ব্যবহৃত তেল এবং কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়া সেটা সহ্য হতে পারে না। ফলে রিয়্যাকশন হয়। এই রিয়্যাকশনের কারণে প্রচুর এসিডিটি হয়।
আর ২ নাম্বার সমস্যা হচ্ছে- রমজানে যদিও আমাদের বলা হয় যে, আমরা কম খাবো অথবা আমরা সহনশীলতা দেখাবো। কিন্তু আমরা রমজানে অনেক বেশি খাই। বিশেষ করে সাহরীর সময় মনে করি যে, কালকে আমাকে সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে। তাই যত পারি খেয়ে নেই। খাওয়ার সাথে সাথে পানিও বেশি খাই। এবার কোন রকমে নামাজ শেষ করে আবার শুয়ে পড়ি। যেটা যেকোনো খাদ্যভাসের জন্য ও যাদের বুক জ্বালাপোড়া হয়, তাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিষয়।

করণীয়:

-      খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে পানি খাবেন না।

-      সাহরী খাওয়ার সাথে সাথে শুয়ে পরবেন না।

-      খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে, নামাজ পড়ে শুতে যাবেন।  

-      ইফতারের সময় যতটা সম্ভব ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন।

-      সেহরির সময় নিয়ন্ত্রিত খাবেন।  

-      ইফতারের পর থেকে অল্প অল্প করে বারবার খান।

-      সাহরীতে ও রাতে শোয়ার আগে বেশি খাবেন না

তাহলেই গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান হবে।


আরও দেখুন: