গর্ভপাতের পর জন্মনিয়ন্ত্রণ কি জরুরি, করণীয়
গর্ভপাতের পর জন্মনিয়ন্ত্রণ কি জরুরি, করণীয়
অনেক নারী নানা কারণে গর্ভপাত করেন। গর্ভপাতের পর অবশ্যই একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। গর্ভপাত করা হয় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের কারণে। ফলে আবারও যদি সেই ঝুঁকি থেকে যায়, তাহলে গর্ভপাত মাতৃমৃত্যুকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সেজন্য গর্ভপাতের পর একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। এখন কি ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে, তা নির্ভর করে রোগীর বয়স, তার সন্তানের সংখ্যা, জীবিত সন্তানের সংখ্যা, অন্য কোনো রোগ কিংবা শারীরিক জটিলতা আছে কি না, ইত্যাদি বিষয়ের ওপর। এজন্য চিকিৎসকরে সাথে কাউন্সেলিং করতে হবে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, ইনজেকশন, আইওসিটি অথবা ইমপ্ল্যান্ট— যেকোনো একটি পদ্ধতি গর্ভপাতের পর দেওয়া হয়ে থাকে। এটি কোনো নারীর দুটি সন্তান আছে, আর সন্তান নিতে না চাইলে এ পদ্ধতির যেকোনো একটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে না চাইলে আইওসিটি বা ইমপ্ল্যান্ট অন্ততপক্ষে ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয়।
কেউ হঠাৎ কনসিভ করলে, ভবিষ্যতে আরও সন্তান নেওয়া ইচ্ছা থাকলে তাকে পিল বা ইনজেকশন দেওয়া হয়। গর্ভপাত পরবর্তী প্রত্যেক নারীর একটি চিকিৎসা বা সেবা দেওয়া হয়। এটিকে পোস্ট-পার্টাম কেয়ার বলা হয়।
গর্ভপাতেও আমাদের দেশের মাতৃমৃত্যু কম নয়। এজন্য দেশে গর্ভপাতের পরবর্তী সময় পোস্ট-অ্যাবরশন কেয়ার অর্থাৎ প্যাক নামে সেবা চালু হয়েছে। প্যাকের মধ্যে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন,
১. ট্রিপেড অফ কম্প্লিকেশন অফ অ্যাবরশন অর্থাৎ গর্ভপাতের পর যেসব জটিলতা দেখা দেয়, সেগুলো চিকিৎসা।
২. পোস্ট-অ্যাবরশন কাউন্সেলিং অ্যান্ড ফ্যামেলি প্লানিং অ্যাডভাইস। অর্থাৎ তাকে কাউন্সিলিং করে একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দেওয়া।
৩. যে অ্যাবরশনের সাথে আমাদের সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা পিআইডি অনেকটাই সম্পর্কযুক্ত, সেজন্য রোগীদের এ সময় পিআইডি বা এসটিডির কোনো চিকিৎসা লাগলে, তা দেওয়া।
৪. সবশেষে রিহ্যাবিলিটিশন বা পুনর্বাসন। গর্ভপাতজনিত জটিলতার কারণে সমস্যা বা অসুবিধা দেখা দিলে, রোগীর পুনর্বাসনে যা যা লাগে তা করা হয়। যেমন, আগে রেক্টোভাইজানাল ফিস্টুলা, ভেসিকোভাইজানাল ফিস্টুলা ছাড়াও নানা জটিলতা দেখা দিত। এসবের সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাবপার্টিলিটি হলে রোগী স্থায়ী পুনর্বাসন লাগে, যা প্যাক সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।