ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া পিএলআইডি, কী করবেন
যে ব্যথা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত যাবে এবং অনেক বেশি কষ্টের কারণ হবে, অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে
একটানা শুয়ে-বসে থাকা, কম্পিউটারে টানা কাজ করা, কঠোর পরিশ্রম, ফ্র্যাকচার, সংক্রমণ, টিউমারসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। ব্যাক পেইন প্রাণঘাতী কিছু না হলেও বারবার ফিরে আসায় স্বাভাবিক জীবন দুঃসহ হয়ে ওঠে।
মেকানিক্যাল ব্যাক পেইনে সাধারণত ব্যথা পেছনে থাকে। এটির তীব্রতা কখনো হাঁটুর নিচে পর্যন্ত যায় না। কিন্তু প্রলাপসড লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্কের (পিএলআইডি) ব্যথা সাধারণত ব্যাক পেইনের সাথে সাথে আমাদের পায়ের নিচ পর্যন্ত চলে যায়।
যে ব্যথা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত যাবে এবং ঝিনঝিন, চিনচিন অথবা অনেক বেশি কষ্টের কারণ হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় এত বেশি অসহ্য ব্যথা হয়, হাঁটা-চলা পর্যন্ত করা সম্ভব হয় না।
অনেকের ক্ষেত্রে অবস্থা খুবই গুরুতর হয়। প্রস্রাব-পায়খানায় সমস্যা দেখা দেয়। তবে আশার কথা হলো, সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলে পিএলআইডির ক্ষেত্রেও ৯০ শতাংশ রোগী সুস্থ হন এবং অনেকে পুরোপুরি ভালো থাকতে পারেন। ৫-১০ শতাংশের ক্ষেত্রে অনেক সময় সার্জারির প্রয়োজন হয়।
পিএলআইডি শনাক্তের জন্য আমরা রোগীর এমআরই করে থাকি। এরপর মূল চিকিৎসা হলো ব্যথানাশক ওষুধ, সাথে ফিজিওথেরাপি। ফিজিওথেরাপি সঠিকভাবে নিতে হবে। একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের কাছ থেকে এক্সারসাইজগুলো শিখে নিতে হবে।
দুঃখের বিষয়, অনেকেই যে ক’দিন ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে এক্সারসাইজ শিখতে যান, সে ক’দিন এটি নিয়মিত থাকে। পরবর্তীতে আর ফিজিওথেরাপি নেন না। এতে করে রোগটি থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেন না। তাই সবার কাছে অনুরোধ, পিএলআইডি থাকলে নিয়মিত ওষুধসেবনের সাথে ফিজিওথেরাপি নিতে হবে।