ব্যাক পেইন কেন হয়, কী করবেন
ব্যাক পেইন প্রাণঘাতী বা গুরুতর কিছু নয়
বর্তমান সময়ে ব্যাক পেইনের সমস্যায় অনেকে ভুগছেন। একটানা শুয়ে থাকা, কম্পিউটারে বসে কাজ করা, কঠোর পরিশ্রম করা, ফ্র্যাকচার, সংক্রমণ, টিউমারসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে।
তবে ব্যাক পেইন প্রাণঘাতী বা গুরুতর কিছু নয়। ব্যাক পেইনের কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত একিউট মেকানিক্যাল ব্যাক পেইন। এটি হলে সাধারণত হঠাৎ করে খুব বেশি কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।
ব্যথার সাথে কাজের একটি সম্পর্ক রয়েছে। ভারী কোনো কিছু তুললে এমন হতে পারে এবং ব্যথাটা বারবার ফিরে আসে। দেখা যায়, ৩০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই দুদিনের মধ্যে ব্যথা উপশমনের উন্নতি হয়। ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে ৬ সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা কমে যায়।
তবে ১০-১৫ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যথাটা ক্রনিক ব্যাক পেইনে মোড় নেয়। এর সাথে কিছু মানসিক চাপ, বিষণ্নতার সম্পর্কও পাওয়া গেছে।
মেকানিক্যাল ব্যাক পেইন হলে সাধারণত আমরা ক্লিনিক্যালি ডায়াগনসিস করতে পারি। এজন্য সাধারণত আমাদের এমআরআই, এক্স-রের কোনো দরকার পড়ে না।
মেকানিক্যাল ব্যাক পেইন হলে প্রথমে আমরা একটু বিশ্রাম নেব। তবে এ বিশ্রাম বিছানায় কখনো অনেক দিন ধরে হবে না। আপনার ব্যথাটা একটু সহনীয় পর্যায়ে এলেই দৈনন্দিন কাজ শুরু করতে হবে। বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি না থাকলেও গরম কিংবা ঠাণ্ডা রোগীরা আরামবোধ করেন। এর সাথে আমরা ব্যবহার করে থাকি ব্যথানাশক ওষুধ।
যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এ ব্যথার ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে। মাসেল রিলাক্সেট ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবেই সাধারণত আমরা ব্যাক পেইনের চিকিৎসা করে থাকি। তবে সমস্যা হলো, ব্যাক পেইন বারবার ফিরে আসতে পারে।