জরায়ুর ক্ষত বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি
জরায়ুর ক্ষত বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি
মানবদেহে অসংখ্য ভাইরাস থাকে। এর একটি হলো, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এ ভাইরাসটির ৫০-৬০টি ধরন রয়েছে। তবে সব ধরন কিন্তু ক্যান্সার তৈরি করে না।
শরীরে উচ্চ ঝুঁকির কিছু ভাইরাস রয়েছে, যাদের কারণে ক্যান্সার হয়। এক্ষেত্রে নারীরা কি ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকবেন? এর মধ্যে প্রথমেই আসবে জরায়ুর ক্যান্সার। যে নারীর জরায়ু যত বেশি আঘাত পায়, তার তত বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। কোনো মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হলে জরায়ু বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আমাদের দেশে গ্রামে এক সময় খুব অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হতো। এমনকি অনেকের মাসিক শুরুর আগেই বিয়ে হয়ে যেতো। এখন এ দৃশ্য অনেক কমেছে। অল্প বয়সের কারণে শারীরিক মিলনে স্বস্তি পায় না সে। এতে তার জরায়ুর ওপর বেশি চাপ পড়ে।
আবার কম বয়সে একাধিক সন্তান প্রসবের ফলে জরায়ুতে প্রভাব পড়ে, এমনকি জরায়ু আহত হয়। ভাইরাসটি সহজেই শরীরে প্রবেশ করে বাসা বাধার সুযোগ পেয়ে যায়। এর ফলে ওই নারীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ক্যান্সার নারী ও পুরুষ— দুজনের হতে পারে। বহুগামী নারীর ক্ষেত্রে শরীরে ভাইরাস আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। একইভাবে পুরুষ বহুগামী হলে, তারও ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আমাদের দেশে একটি আইন আছে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এ আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে একটি ভালো ফল পাওয়া যাবে। এর বাইরে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে শুধু ক্যান্সার নয়, যেকোনো রোগই খুব দ্রুত বেড়ে যায়। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস এবং সঠিক হাইজিন না মেনে চলার কারণেও অনেক নারীর ক্যান্সারের ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং জীবনযাপনে হাইজিন মেনে চলা খুবই জরুরি।