অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি না-কি কোভিড যেভাবে বুঝবেন
কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা সন্দেহ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং কোভিড পরীক্ষা করে নেন।
অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি আর কোভিডের উপসর্গ প্রায় একই ধরনের হওয়ায় অনেকেই গুলিয়ে ফেলছেন। এতে কোভিড আক্রান্ত রোগী নিজের এবং তার সংস্পর্শে আসা লোকজনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।
অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি আর কোভিডের উপসর্গের কিছু মিল-অমিল তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। সেগুলো হলো-
জ্বর-ঠান্ডা
কোভিডে জ্বর ও ঠান্ডা লাগতে পারে। তবে অ্যালার্জিজনিত অসুস্থতায় তেমনটা সচরাচর হয় না।
কাশি
কোভিড আক্রান্ত হলে কিংবা অ্যালার্জিজনিত ফ্লু দুটোতেই কাশি হয়।
শরীর ব্যথা
কোভিড হলে শরীর ব্যথা হয়। তবে অ্যালার্জিজনিত অসুস্থতায় শরীর ব্যথা হয় না।
মাথাব্যথা
কোভিড এবং অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি দুটোতেই মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।
দুর্বলতা
কোভিড এবং অ্যালার্জিজনিত অসুস্থতা দুটোতেই শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
স্বাদ-গন্ধ হারোনা
কোভিড হলে স্বাদ-গন্ধ হারাতে পারেন রোগী। অ্যালার্জিজনিত অসুস্থতার ক্ষেত্রে তা হয় না।
শ্বাসকষ্ট
কোভিড আক্রান্ত হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জিজনিত সিজনাল ফ্লুতে শ্বাসকষ্ট হয় না। তবে কারও হাঁপানি রোগ থাকলে ভিন্ন কথা।
গলাব্যথা
কোভিড এবং অ্যালার্জিজনিত অসুস্থতা দুটোতেই গলাব্যথা বা গলার স্বরভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
হাঁচি
কোভিড এবং অ্যালার্জিজনিত ফ্লু দুটোতেই সচরাচর হাঁচি হয়।
চুলকানি ও চোখ দিয়ে পানি পড়া
অ্যালার্জিজনিত অসুস্থতায় চুলকানি ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে। তবে কোভিডে তেমনটা হয় না।
সর্দি-নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
কোভিড এবং অ্যালার্জিজনিত ফ্লু দুটোতেই সর্দি এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে।
কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা সন্দেহ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং কোভিড পরীক্ষা করে নেন। নিজে ঝুঁকিমুক্ত থাকুন এবং আপনার সংস্পর্শে আসা লোকজনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখুন।