তিন উপায়ে সারবে শ্বেতী
শ্বেতী শরীরে এক বছর স্থায়ী থাকলে এবং নতুন করে না বাড়লে অটোলোগাস মেলানোসাইট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করা ভালো
শ্বেতী হলো অটো ইমিউন রোগ। এর সাথে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, থাইরোডাইটিসের মতো বেশ কয়েকটি রোগের সম্পর্ক রয়েছে।
শ্বেতী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অকারণে হয়। তবে এখন অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। ফলে চিকিৎসা করালে অনেক সময় শ্বেতী ভালো হয়ে যায়। মোটা দাগে তিনটি পদ্ধতিতে শ্বেতী রোগের চিকিৎসা করা হয়। তাহলো ওষুধ, অস্ত্রোপচার ও থেরাপি।
শরীরে বিদ্যমান শ্বেতী ওষুধ দিয়ে থামানো যায়। আবার নতুন করে যাতে শরীরে শ্বেতী না হয়, সেজন্যও বর্তমানে কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ইতিমধ্যে এসব ওষুধের প্রাথমিক ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে।
শ্বেতী রোগ চিকিৎসায় আমরা স্টেরয়েড বা মেথোট্রেক্সেট সমন্বয় করে থাকি। বায়োলজিক্স দিয়েও চিকিৎসা শুরু করা যায়। তবে বায়োলজিক্স দিয়ে শুরু করলে ধীরে ধীরে স্টেরয়েড বন্ধ করে দিতে হবে। বায়োলজিক্স ছয় মাসের বেশি চলে। আর মেথোট্রেক্সেট এক থেকে দেড় বছর চলে।
সার্জিক্যাল বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শ্বেতী দূর করা যায়। শ্বেতী শরীরে এক বছর স্থায়ী থাকে এবং নতুন করে না বাড়লে অটোলোগাস মেলানোসাইট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করলে ভালো হবে।
এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে পায়ের অংশ বা শরীরের যে কোনো জায়গা থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কালো কণা তুলে নিয়ে সাদা দাগের স্থানে লাগাতে হয়। একটি পর্যায়ে কালো কণাগুলো বৃদ্ধি পেয়ে সাদা দাগ ঢেকে ফেলে।
আরেকটা উপায়ে শ্বেতী দূর করা যায়। সেটি হলো ন্যারোব্যান্ড ইউভিবি ফটোথেরাপি। ৩১১ ন্যানো মিটারের রশ্মি ব্যবহার করে শ্বেতী দূর করা যায়।