চোখের নিচের ও ঠোঁটের কালো দূরে করণীয়
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অনেকেই হাইড্রোকুইন-৪ ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ক্রিমটি অনেক স্ট্রং এবং না লাগানোয় ভালো
চোখের নিচে কালো দাগ নিয়ে যেমন অস্বস্তি দেখা দেয়, তেমনি অনেকের ঠোঁট হয়ে যাচ্ছে বলে দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেকেই ঠোঁটের কালোভাব দূর করতে চিনি ও লেবু ঘষেন। এগুলো ঠিক না।
ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা। লেবু ও চিনি বেশি ঘষাঘষির কারণে ঠোঁটে পোস্ট ইনফ্ল্যামেটরি হাইপার পিগমেনটেশন হতে পারে। এজন্য এসপিএফযুক্ত লিপ বাম লাগাতে হবে। কালো ঠোঁটের সমস্যা সমাধানে ওষুধ কোম্পানি কিছু লিপ বাম তৈরি করেছে। এর মধ্যে এসপিএফ-৫০, এসপিএফ-৩০ অন্যতম।
এছাড়া এভিনো, সান্সস, বায়োডার্মা লিপ বাম ও অটোডার্ম লিপ বাম লাগালে ঠোঁটে রোদের আঘাত লাগবে না। ঠোঁট ভালো থাকবে।
অন্যদিকে আই পিগমেন্টশন বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অনেকেই হাইড্রোকুইন-৪ ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ক্রিমটি অনেক স্ট্রং এবং চোখের নিচে না লাগানোই ভালো। ভিটামি-সি সিরাম এক ফোটা করে দুই চোখে রাতে ব্যবহার করতে পারেন।
চোখের নিচে কালি কমাতে আরও কিছু ওষুধ আছে। রেটিসম আই ড্রপস, জেনোভে এন্টি ডার্ক সার্কেল ক্রিম, ভিটামিন-সি বা ভিটামিন-সি প্লাস আলফা হাইড্রোক্সি এসিড মেশানো ক্রিম চোখের নিচে লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
অনেকে ত্বক ভালো রাখার জন্য বেশি বেশি যত্ন নেন। দিনে দু-তিনবারও পরিচর্যা করেন। সপ্তাহ সপ্তাহ ফেসিয়াল করেন। অতি যত্নের মাধ্যমে নিজের ত্বকে তিনি ক্ষতি ডেকে আনছেন। বেশি যত্নে ত্বক ভালো থাকবে, এ ধারণা ভুল।
সাধারণত ৩০ বছর বয়সীদের প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ ৩০-৪০ দিন পরপর ত্বক পরিবর্তন হয়। ঘনঘন ত্বকের যত্ন বা বিভিন্ন স্কিন কেয়ার পণ্য লাগালে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য মাঝেমধ্যে যত্ন নিতে হবে। তবে বয়স্ক মানুষের ঘনঘন ত্বকের যত্ন নিতে হবে।