ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার পরও কোমরে ব্যথা, সারতে করণীয়
কোভিডের অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে এই ধরনের ব্যথা কিছুটা বেশি হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পরে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা এখনো চিকিৎসকদের কাছে পরিষ্কার নয়। অনেকেই বলছেন, এটি সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা। কেউ আবার বলছেন, এতে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই, এটি রীতিমতো জটিল জিনিস।
এরই মধ্যে অনেকেই জানাচ্ছেন, ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার সময়ে তাদের কোমরে ব্যথা হচ্ছে?
এর কারণ কী, সমস্যাটি কতটা ভয়ের- এ বিষয়ে ভারতের খ্যাতনামা চিকিৎসক ফুসফুস বিশেষজ্ঞ হরিশ চাফলে বলছেন, ভাইরাস সংক্রমণ হলে myalgias বা পেশি-গাঁটের ব্যথা হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কোভিডেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে নয়।
এখন পর্যন্ত পাওয়া সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডের অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে এই ধরনের ব্যথা কিছুটা বেশি হচ্ছে। শরীরের musculoskeletal system বা হাড়-পেশি-মজ্জার যে কাঠামো তাতে এই ভাইরাসটির প্রভাব বেশি পড়ছে। ক্ষতি বেশি হচ্ছে বলেই হয়তো এমন হচ্ছে।
চিকিৎসা কীভাবে?
হরিশ চাফলে বলছেন, এর থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি রাস্তা মেনে চলতে হবে। প্রথমত, সেরে যাওয়ার পরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ববিধিও মেনে চলতে হবে।
দ্বিতীয়ত, যতক্ষণ না পুরোপুরি সেরে উঠছেন, ততক্ষণ ভারী কাজ করা যাবে না। দরকার হলে সাধারণ সময় যতটা বিশ্রাম নেন, তার চেয়ে বেশি সময় বিশ্রাম নিতে হবে।
তৃতীয়ত, নিয়মিত শরীরচর্চা বা এক্সারসাইজ করে থাকলে সেটি আবার শুরু করতে পারেন। তাতে এই ব্যথা কমবে। তবে প্রথমেই ভারী ব্যয়াম করা যাবে না।
সবচেয়ে বড় কথা, বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে। তাতে পেশির নমনীয়তা বাড়বে। ব্যথা কমবে তাড়াতাড়ি।
খুব বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
অনেক সময়ে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতির কারণেও এই ব্যথা বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রা পরীক্ষা করাতে পারেন বা এই ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।