সদ্য বিবাহিতদের সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
সদ্য বিবাহিতদের সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রণ একটা বিস্তৃত বিষয়। সদ্য বিবাহিত দম্পতিরা চাইলে জন্মনিয়ন্ত্রণের সব পদ্ধতি নিতে পারবেন না। প্রত্যেক নবদম্পতির কন্ট্রাসেপটিভ (জন্মনিয়ন্ত্রণ) বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ সমস্যায় আমাদের দেশের মাতৃমৃত্যুর হার অনেক বেশি। যেমন গর্ভপাত বা এমআর করতে গিয়ে অঘটনগুলো ঘটে।
সদ্য বিবাহিতদের জন্মনিয়ন্ত্রণের সব পদ্ধতি সঠিক নয়। কিছু পদ্ধতি তারা নিতে পারেন। বিশেষ করে যারা বিয়ের পর ২/৩ বছর পরে বাচ্চা নিতে চাই। তাদের জন্য কম্বাইনড ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল। আমাদের দেশে পাওয়া যায়- সুখি, মায়া, আপন- এসব বড়ি। কিছু আছে, প্রোজেস্টেরন অনলি পিল।
আরও পদ্ধতি আছে, ইনজেকটেবল কন্ট্রাসেপটিভ। প্রতি তিন মাস পর পর একটা করে ইনজেকশন দিলে মোটামুটি তিন মাসের মধ্যে তার গর্ভধারণের কোনরকম সম্ভাবনা থাকবে না। এই পদ্ধতিগুলো জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে- এগুলো খুবই স্বল্প মেয়াদি এবং খুব কার্যকর পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ফেইলর রেট অনেক কম বললেই চলে। যখন দম্পতি মনে করবে, আমরা এখন বাচ্চা নিতে চাই, তখন বাদ দিয়ে দিলেই হবে।
বিশেষ করে ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিলগুলো বাদ দিয়ে দিলে তিন মাসের মধ্যে গর্ভধারণের একটা ক্ষমতা চলে আসবে। ইনজেকশন সেরকম, বাদ দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ইচ্ছা করলে বাচ্চা নিতে পারেন।
এই পদ্ধতিগুলোর সুবিধা হচ্ছে- জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বলেই নয়, মাসিক নিয়মিতকরণের জন্যও খুবই কার্যকর। কিছু রোগ আছে যেমন- পিআইডি যেটা আমরা জানি জরায়ু এবং তার চারদিকে যে ইনফেকশনগুলোর কারণে মেয়েরা অনেক সাফার করে। সেটা জরায়ুতে টিউমার হওয়া। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো মেয়ে পদ্ধতি না নিয়ে মাঝেমধ্যে ইমারজেন্সি পিল খায়, যার জন্য যাদের একটু পিক গ্রেগনেন্সির চান্স অনেক বেশি নেয়। এসব থেকেও তারা রক্ষা পেতে পারে।
আরও সুবিধা হচ্ছে, যখনই তারা ছেড়ে দিতে চাইবে, ছেড়ে দেওয়ার পরেই ইচ্ছা করলেই বাচ্চা নিতে পারে। এগুলো আসলে সদ্য বিবাহিতদের জন্য ভালো পদ্ধতি বলে আমরা মনে করি।