ওজনের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক, করণীয়
ওজনের বুদ্ধির সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে
ওজন বুদ্ধির সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে। কারণ ওজন যখন বাড়তে থাকে তখন আমাদের ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমতে থাকে। যে ইনসুলিন আমাদের শরীর থেকে নরমালি তৈরি হয় সেটা কিন্তু ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
যখনই ইনসুলিন কাজ করতে না পারে, তখনই তার যে নির্দিষ্ট কাজটা সেলের ভিতরে গ্লুকোজ ঢুকিয়ে দেয়া, সে কাজটা যখন করতে পারে না তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বাড়তে থাকে। সুতরাং আমরা কিন্তু এই ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়েও কিন্তু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারি।
ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায়ই হচ্ছে আমাদের শরীরের ফ্যাট সেল কমিয়ে ফেলা। তাহলে এই জিনিসটা খেয়াল রেখেই আমরা কিন্তু আসলে এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারি।
আবার কারো কারো ভুল ধারণা আছে যে, আমার পরিবারে তো ডায়াবেটিস আছেই সুতরাং আমার আর প্রতিরোধের জন্য খুব ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোন লাভ আছে কিনা? তাদের জন্য বলবো অবশ্যই আছে। আমরা যদি পাঁচ বছর দশ বছর পর্যন্ত ডায়াবেটিস হওয়াটাকে প্রতিরোধ করতে পারি। তাহলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারি।
ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাটা কমিয়ে আনতে পারলে একজন পরিবারের উপরে যেমন অর্থনৈতিক চাপটা কমে, পুরোদেশের উপরেও কিন্তু এর একটা অর্থনৈতিক প্রভাব আছে। সুতরাং সেটাও কিন্তু অনেকাংশে কমানো সম্ভব। সুতরাং ডায়াবেটিস প্রতিরোধের কিন্তু আসলে কোনোই বিকল্প নাই।
আমি যে প্রতিরোধের কথা বলছিলাম সেটা হচ্ছে- যাদের ডায়াবেটিস হয়নি তাদেরকে আমরা ডায়াবেটিস হতে দিবো না। এইটা হচ্ছে প্রাথমিক ধাপের প্রতিরোধ। যাদের এখনো ডায়াবেটিস হয়নি তাদের আমরা চাই না তাদের ডায়াবেটিস হোক।
যারা ডায়াবেটিস হয়ে গেছে তাদের খুব হতাশ হতে হবে না। সেই প্রতিরোধটা একটু বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ। সেটা হচ্ছে জটিলতাগুলো প্রতিরোধ। ডায়াবেটিস হয়ে গেছে এখন ডায়াবেটিস সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। এই সুনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিন্তু ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাগুলোকে অনেক অনেক দূরে রাখতে পারে। সুতরাং খেয়াল রাখতে হবে যে, ডায়াবেটিস হয়ে যাবার পরেও আমরা ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাকে প্রতিরোধ করতে পারি।