স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে এ বিষয়গুলো মেনে চলুন
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে যা আমরা কন্ট্রোল করতে পারি, বিশেষ করে আমাদের আয়ত্তে যেগুলো আছে।
একজন নারী সাধারণত শারীরিক গঠন এবং বিশেষ হরমোনজনিত কারণে পুরুষের থেকে আলাদা। নারীরা আবার নারী হওয়ার কারণেই কিছু ক্যান্সার তথা গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। এর মধ্যে স্তন ক্যান্সার বড় আকার ধারণ করেছে। স্তন ক্যান্সারকে বলতে পারি নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম।
এক্ষেত্রে এই ক্যান্সার থেকে বাঁচতে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, বিশেষ করে আমাদের আয়ত্তে যেগুলো আছে। সেগুলো হলো-
১. অতিরিক্ত ওজন। আমরা যদি আমাদের ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে অনেকখানি রিস্ক কমে যাবে। এটা শুধু স্তন ক্যান্সার নয় আরও অনেক ক্যান্সারের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
২. দ্বিতীয়ত কিছু ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করা। যদি ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভটি করা যায়, তাহলে ওজনটা কমবে, নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার। স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আমাদের যে এতো ক্যান্সারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এর একটা মূল কারণ হতে পারে, হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি যে, আমাদের খাদ্য অভ্যাস। আমরা দেখা যায়, শাক-সবজি কম খাচ্ছি, ফলমুল কম খাচ্ছি। এখনকার বাচ্চারা তো আরো বেশি কম খায়। ফলে এটা একটা বড় রিস্ক ফ্যাক্টর কিন্তু।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিস্ক ফ্যাক্টার আছে। যেটা হচ্ছে হরমোন। আমরা অনেক সময় বাচ্চা না নেওয়ার জন্য পিল খেয়ে থাকি। পিল খাওয়া যেতে পারে কিন্তু বলা হচ্ছে সেটা ৫ বছরের বেশি যেন না খাওয়া হয়। তাহলে শরীরের মধ্যে একটা চেঞ্জ আসতে পারে। তো হরমোনটাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
অনেক নারী আছেন যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন- গরমকালে মাথা গরম হয়ে যায়, খুব অস্থির লাগে। তখন আমরা কিছু হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দেই। এই হরমোন থেরাপিটা কিন্তু আমরা লং টাইম ইউজ করতে চাই না।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে- ব্রেস্ট ফিডিং তথা বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। দেখা যাচ্ছে, যেসব নারীরা ব্রেস্ট ফিডিং করিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টরটা কম থাকে।