ব্রাশের পর দাঁতে ব্যথা হলে করণীয়
ব্যথাটা দু-এক ঘণ্টা স্থায়ী হলে সিলিং চিকিৎসায় কোনো কাজ হবে না
অনেক রোগী আসেন, যাদের ব্রাশ করার পর দাঁতে ব্যথা করে। এক্ষেত্রে আমরা খেয়াল করতে বলি, ব্রাশের সাথে রক্ত আসে কি না বা ব্লিডিং হচ্ছে কি না তা দেখতে।
যদি মনে হয়, ব্লিডিং হচ্ছে বা মাড়ি ফোলা ফোলা লাগছে, তাহলে দাঁত স্কেলিং ও পলিশিং খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ আমাদের মাড়িতে অনেক সময় পাথর জমে, যা খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে সেটি নড়ে যায়।
তবে যদি এ রকম হয় যে, আপনার ১০ মিনিটের ভেতরে ব্যথা চলে যাচ্ছে বা ব্যথা অত বেশি গুরুতর না, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে। কোনো ধরনের ক্যাভিটি থেকে থাকলে মিষ্টি বা টক জাতীয় খাবার খেলে তা আরও বেড়ে যাবে।
আরেকটি বিষয়, ১০ মিনিটের আগেই ব্যথা চলে যায় অথবা ব্যথার জায়গাটি পরিষ্কার করলে উপশম মেলে, তাহলে সিলিং করলে উপকার মিলবে। কিন্তু ব্যথাটা দু-এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে কিন্তু রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট করাতে হবে। সিলিং করে কোনো কাজ হবে না।
অর্থাৎ ব্রাশের পরে দাঁতে ব্যথা করলে মোটা দাগে তিনটি চিকিৎসা নিতে পারেন। প্রথমমত, স্কেলিং করিয়ে দেখতে হবে। দাঁতের পাথরগুলো তুলে ফেলার পর অনেক ক্ষেত্রে ভালো হয়ে যাবে। কোনো ধরনের ক্যাভিটি বা ক্যারিজ হয়, বড় গর্তে খাবার আটকে থাকে এবং ব্যথা ১০ মিনিটে কম সময়ে ভালো হলে সিলিং করাতে হবে। আর ব্যথা গুরুতর পর্যায়ে গেলে রুট ক্যানেল করাতে হবে।
তবে সমস্যা দেখা মাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ দেরি করলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে। এমনকি মুখ ফুলে যেতে পারে। নিয়ম হলো ছয় মাস পরপর একজন ডেন্টাল সার্জনের কাছে যাওয়া উচিত। তাহলে ছোট থেকে সমস্যার সমাধানে কষ্ট ও অর্থ বাঁচবে।
বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে আমরা চিকিৎসকের কাছে যায় না। একবারে যখন গুরুতর অবস্থা হয়, ব্যথার কারণে টিকতে পারে না, তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। এতে চিকিৎসা মূল্য বেড়ে যায়। সব থেকে ভালো হয়, দিনে দুবার ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।