মেছতা দূর করবেন যেভাবে
মুখে মেছতা হলে চিকিৎসকরা যেসব ওষুধ দেন, সেগুলো রাতে ব্যবহার করতে হবে। মেছতার ওষুধ দিনে ব্যবহার করা যায় না।
অনেকের মুখের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ নাকের দুই পাশের জায়গাটি কালো হয়ে যায়। এতে মুখের মূল সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। কালো দাগটিকে মেছতা বলা হয়।
মেছতা নারীদের বেশি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরাও এর শিকার হয়। তবে ত্বকের মানের ওপর এটি নির্ভর করে। কারও ত্বক সূর্যের আলো শোষণ করতে না পারলে কিছু নির্দিষ্ট অংশে কালো দাগ দেখা দেয়।
মুখে মেছতা হলে চিকিৎসকরা যেসব ওষুধ দেন, সেগুলো রাতে ব্যবহার করতে হবে। মেছতার ওষুধ দিনে ব্যবহার করা যায় না।
দিনের বেলায় সান্সক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর (এসপিএফ) ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। বাসা থেকে বের হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে লাগাতে হবে। রোদে গেলে ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টার সময়কার রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় রোদ অনেক তীব্র থাকে। এই সময়ে রোদে অতিবেগুনী রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট ‘এ’ এবং ‘বি’ থাকে। এ দুটোই ত্বকের ক্ষতি করে। মেছতা সৃষ্টিতে এই দুটো দায়ী। পুরুষদের জন্য মিনারেল সান্সক্রিন পাউডার পাওয়া যায়।
আর রাতে মেছতার ওষুধ লাগানোর সময় পুরো মুখেই লাগাতে হবে। শুধু মেছতার জায়গায় লাগানো যাবে না।
এখন বাজারে নতুন ওষুধ আসছে হাইড্রোকুইনন। আমরা প্রথমে এটা দিয়ে মেছতা দূর করার চেষ্টা করি। এটা খুবই ফলপ্রসূ। কিন্তু এটা ৩-৪ মাসের বেশি ব্যবহার করা ঠিক না। এছাড়া ‘মেটাকরটিল লাইট ক্রিম’ নামের ইন্ডিয়ান একটি ওষুধ পাওয়া যায়, সেটা লাগাতে পারেন।
মেছতা কমানোর জন্য কেমিক্যাল পিলিংও করা যেতে পারে। এছাড়া মেছতা দূর করতে বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড অর্থাৎ সলিসাইলিক এসিড অথবা এজিলাইক অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করলে দাগ ধীরে ধীরে সরে যায়। তবে মেছতা থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসা ও সূর্য থেকে সুরক্ষা হলো প্রধান উপায়।