কিশোরী বয়সে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি দেখা যায়
কিশোরী বয়সে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি দেখা যায়
সাধারণত ১০ থেকে ১৯ বছর বয়স মেয়েদের আমরা বলি কিশোরী। আমাদের দেশে এই সংখ্যা ৩২ মিলিয়ন তথা ৩ কোটি ২০ লাখ। যদি তুলনা করি যাদের বয়স ২০ বছরের ওপরে, তাদের তুলনায় এদের সমস্যা একটু অন্যরকম।
প্রথমে যদি সমস্যা চিন্তা করি এটা কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে এই পিরিয়ডটা ট্রানজিশন পিরিয়ড। ট্রানজিশন পিরিয়ড মানে- না বাচ্চা না বয়স্ক, এর মাঝামাঝি সময়। এই সময়টাকে বলা হয় চেঞ্জ ট্রানজিশন পিরিয়ড। এ চেঞ্জে সাইকোলজিক্যাল সমস্যা হয়। যার কারণে একটা মেয়ে কিশোরী থেকে প্রাপ্তবয়স্কর দিকে চলে যায়।
তার যে অলাদা রেসপন্সিবিলিটি, সেটা নেওয়ার জন্য সে তৈরি হয়ে যায়। সেজন্য স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন আছে, সাইকোলজিক্যাল সমস্যাও আছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যদি আমরা বলি, তাহলে এদের সমস্যাগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাসিকের সমস্যা।
মাসিকের সমস্যাগুলোর মধ্যে মাসিক শুরু হয়নি হয়তো, দেরি করে শুরু হয়েছে কিংবা শুরু হয়েছে অনিয়মিত, শুরু হলে থামে না, পরিমাণে বেশি হতে পারে, পেটে ব্যথা হতে পারে- এই রকম সমস্যাগুলো।
এছাড়াও কিছু ডিসচার্জ হতে পারে, সাদাস্রাব হতে পারে, তার মাসিকের রাস্তায় ব্যথা হতে পারে। এটা হলো শারীরিক ডিসচার্জ।
মেন্টাল ডিসঅর্ডার হয়। তাদের খাওয়া দাওয়ার প্রতি একটু এদিক-ওদিক হতে গিয়ে একটু মোটা হয়ে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। আমাদের দেশে অনেকেই টিনেজে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়।