জানুন জরায়ুমুখ ক্যানসারের উপসর্গ থেকে চিকিৎসা
জরায়ু ক্যানসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উচ্চ ঝুঁকিতে। কারণ, এই ক্যানসারের যতগুলো রিস্ক ফ্যাক্টর আছে তা সবই বাংলাদেশে আছে।
দেশে প্রতিবছর আট হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগে মৃত্যু হয় পাঁচ হাজারের বেশি। এ প্রাণহানি কমাতে প্রয়োজন এ রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধের উপায় ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখা।
জরায়ুমুখ ক্যানসার বলতে কী বোঝায়, কত ধরনের?
মেয়েদের প্রজননতন্ত্র জরায়ুর দুইটা অংশ। একটা হলো বডি, আরেকটা হচ্ছে জরায়ুমুখ, যেটাকে সার্ভিক্স বলা হয়। এই সার্ভিক্সে যখন হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) দিয়ে কিছু পরিবর্তন হয়ে অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে জরায়ুমুখে ঘা হয় সেটাই হচ্ছে জরায়ুর ক্যানসার। জরায়ুর বডির ক্যানসার আর জরায়ুর ক্যানসার দুটোর কারণ একদম ভিন্ন।
জরায়ুমুখের ক্যানসারের সাধারণত যে রিসপেক্টরগুলো আছে, সেগুলো হলো- খুব অল্প বয়সে যাদের বিয়ে হয়, খুব কম বয়সেই বেশ কয়েকটি সন্তান জন্মদান করা, কম বয়সেই প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়া ইত্যাদি কারণে জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়ে থাকে।
জরায়ুমুখের ক্যানসার বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূলের জন্য জাতিসংঘ ১৪৮টি দেশকে বেশকিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। জাতিসংঘের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯০ ভাগ উপযুক্ত জনসংখ্যাকে এইচপিভি ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া ৭০ ভাগ জনসংখ্যাকে স্ক্রিনিং (ক্যানসারের পূর্বাবস্থা শনাক্ত) করতে হবে। ক্যানসারে আক্রান্ত ৯০ ভাগ জনগণের চিকিৎসার সক্ষমতা থাকতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।
জাতিসংঘের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে উন্নত দেশগুলোর ন্যাশনাল ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আছে, ন্যাশনাল পপুলেশন বেইস স্ক্রিনিং ফ্যাসিলিটিজ আছে এবং তাদের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাও আছে।
জরায়ু ক্যানসার নির্মূলে যদিও আমরা কাজ করছি, তবে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কারণ আমাদের দেশে জাতীয়ভাবে টিকাদানের কৌশল নাই। শুধু আমরা যারা (চিকিৎসক) প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করছি তারা রোগীদের টিকা দিতে পারছি। যেমন- ১৩ থেকে ১৫ বছরের প্রায় আট লাখ কিশোরীকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা টিকার আওতায় সেই জনবলকে আনতে পারিনি।
স্ক্রিনিংয়ের জায়গায় যেখানে ৭০ ভাগ কাভার করতে হবে, সেখানে আগে আমাদের ১২ ভাগ ছিল। সম্প্রতি দুই ভাগ বেড়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ১৪ ভাগ কাভার করতে পেরেছি।
২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ ভাগ স্ক্রিনিং পূরণ করতে অনেক দূর যেতে হবে। এই কাভারেজ করতে হলে আমাদের ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) উপযুক্ত মাকে (যাদের বয়স ৩০-৬০ বছরের মধ্যে) স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে। সেখানে আমরা মাত্র ৪ মিলিয়ন (৪০ লাখ) মাকে স্ক্রিনিং করতে পেরেছি।
আবার ক্যানসার ধরা পড়ার পর এর চিকিৎসা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের অল্প কিছু কেন্দ্রে আছে। আমাদের ক্যানসার চিকিৎসা দেওয়ার মতো তিনটা মাত্র ডেডিকেটেড প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়া আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়ার কিছু কিছু ব্যবস্থা আছে। আর প্রাইভেট সেক্টরে এর চিকিৎসা খুবই অপ্রতুল।
কাজেই জরায়ু ক্যানসার নির্মূলে যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ম্যান্ডেট (আদেশ) নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ বা উপসর্গ
জরায়ুমুখ ক্যানসারের সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে, এটা ৭০ ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাডভান্সড স্টেজে ধরা পড়ে। কোনো লক্ষণ থাকে না। এরপর যখন লক্ষণ চলে আসে, তখন সেটা অ্যাডভান্সড হয়ে যায়।
জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথম দিকে রোগীর সাদাস্রাব হয়। অনেক সময় গন্ধযুক্ত বা রক্তমিশ্রিত সাদাস্রাব হয়।
এছাড়া যৌন সহবাসে রক্ত যাওয়া জরায়ু ক্যানসারের এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এজন্য সহবাসে কারও রক্ত গেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
মাসিক অনিয়মিত হওয়া। দুই মাসিকের মাঝে অনিয়মিত রক্তস্রাব অথবা মাসিক এতবেশি অনিয়মিত হচ্ছে যে মাসিকের তারিখ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এছাড়া যেসব মায়ের মাসিক একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় তাদের যদি কোনো রক্তক্ষরণ দেখা যায়, তাহলে সেটাও জরায়ু ক্যানসারের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। সেক্ষেত্রে দ্রুত তাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
এছাড়া তলপেটে ব্যথা, ব্যাকপেইন বা পা ফুলে যাওয়া ও পায়ে পানি আসা জরায়ু ক্যানসারের অ্যাডভান্সড স্টেজের লক্ষণ।
জরায়ুমুখের ক্যানসার অনেক বেশি দেরিতে ধরা পড়ার আরেকটা উল্লেখযোগ্য কারণ হলো- আমাদের দেশের মায়েরা এরকম একটা গোপনাঙ্গের সমস্যা নিয়ে ডাক্তার কাছে যেতে চান না। আমাদের অনেক সামাজিক ও পারিবাকি প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা চিকিৎসকের পৌঁছতেই পারেন না।
জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলো কী, বাংলাদেশ পরিস্থিতি কেমন?
জরায়ুমুখের ক্যানসার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দিয়ে হয়। এই ভাইরাসের একশ’র বেশি ধরন আছে। এর মধ্যে সব ভাইরাসে ক্যানসার হয় না। যেগুলো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাস, সেগুলোর মাধ্যমে জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়। একটিমাত্র ভাইরাস শরীরে ঢুকলেই যে ক্যানসার হবে তা কিন্তু নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় ৮০ ভাগ ইনফেকশনই শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে তা দিয়ে চলে যায়। তাহলে কেন হচ্ছে? এই যে ২০ ভাগ ইনফেকশন আমাদের শরীরে রয়ে যাচ্ছে, সেই ইনফেকশনের সঙ্গে যখন আরও কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর যুক্ত হয়, তখন এই ভাইরাসের কাজ শুরু হয়, কোষের ভেতরে তার পরিবর্তনগুলো আনে।
রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হলো- মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে হওয়া। যেমন- যে মেয়ের ১৩-১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তার যোনিপথের কোষ কলাগুলো পরিণত হওয়ার আগেই সে সেক্সুয়াল এক্সপোজার বা যৌন সংস্পর্শে আসছে। এটা একটা বড় ঝুঁকির কারণ।
যারা কম বয়সে বাচ্চা নেয়, একাধিক বাচ্চা নেয়, যারা অনিরাপদ সঙ্গম চর্চা করে, শারীরিক সম্পর্কের জন্য যাদের একাধিক সঙ্গী থাকে, শারীরিক সম্পর্কের সময় যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে না এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটা ক্যানসারে রূপান্তরিত করে।
আর এসব কারণেই জরায়ু ক্যানসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উচ্চ ঝুঁকিতে। কারণ, এই ক্যানসারের যতগুলো রিস্ক ফ্যাক্টর আছে তা সবই বাংলাদেশে আছে।
প্রাথমিকভাবে জরায়ু ক্যানসার শনাক্ত করা যাবে কীভাবে?
আমরা প্রাথমিকভাবে জরায়ু ক্যানসার শনাক্ত করতে চাই না। আমরা চাই জরায়ু ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ শনাক্ত করতে। কারণ আমাদের টার্গেট হলো- জরায়ুমুখের ক্যানসার পর্যন্ত যেতে দেব না। আমরা জরায়ুমুখের ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণগুলোকে শনাক্ত করব।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস যখন ইনফেকশন করে, তখন সে কিছু পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। যেমন- প্রাথমিকভাবে সিআই-১ হয়। এটা ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণের প্রথম ধাপ। সিআই-২ ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ। সিআই-৩ ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণের তৃতীয় ধাপ। এভাবে জরায়ুমুখে ক্যানসারে পরিণত হয়। ইনফেকশ থেকে ক্যানসারে পরিণত হতে ১০-১২ বছর লাগে। এই সময়ের মধ্যে স্ক্রিনিং করলেই ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ শনাক্ত করা যায়।
যখন জরায়ু ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ হবে, তখন কোনো লক্ষণ বোঝা যাবে না। এজন্য যেসব মা সুস্থ এবং তাদের জরায়ু ক্যানসারের কোনো লক্ষণ নেই, তাদেরকেও স্ক্রিনিং সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে জরায়ু মুখের ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণগুলো ধরা পড়লে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়
আমরা যদি জরায়ুমুখের ক্যানসার একেবারেই প্রতিরোধ করতে চাই বা আমাদের জরায়ুমুখের ক্যানসার হবেই না, বা পূর্ব লক্ষণও হবে না, তাহলে আমাদের ভ্যাকসিনেশনে যেতে হবে।
প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধ করতে ১৩-১৫ বছরের কিশোরী মেয়েদের টিকা দিতে হবে। এই ভ্যাকসিনের একশ ভাগ সুফল পাবো যদি তাদেরকে সেক্সুয়াল এক্সপোজার বা যৌন সংস্পর্শে আসার আগেই টিকা দেওয়া হয়। তাহলে তাদের জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি ৯৯ ভাগ কমে যায়। তবে তাদেরকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
দ্বিতীয়ত, জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এরপর সেকেন্ডারি প্রতিরোধ হলো- স্ক্রিনিং সেন্টারে গিয়ে সুস্থ মায়েদের স্ক্রিনিং করতে হবে। স্ক্রিনিংয়ে তিনটা পদ্ধতি আছে। এগুলো হলো- পেপস স্মেয়ার টেস্ট, ভায়া টেস্ট ও এইচপিভি ডিএনএ টেস্ট। এই টেস্টগুলোর মাধ্যমে জরায়ু মুখের ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ শনাক্ত করা যায় এবং চিকিৎসা দেওয়া যায়।
বাংলাদেশে জরায়ু মুখের ক্যানসারের কত ধরনের টিকা আছে, খরচ কেমন?
বাংলাদেশে জরায়ু ক্যানসারের তিন ধরনের অনুমোদিত টিকা আছে। সারভারিক্স, গার্ডাসিল ও গার্ডাসিল-৯।
সারভারিক্স দুটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। গার্ডাসিল দুটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও দুটি কম ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। গার্ডাসিল-৯ হচ্ছে ৯টি এইচপিভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৯-১৩ বছর বয়সী মেয়েদের অর্থাৎ ১৫ বছরের আগে সারভারিক্স টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে। এক মাস ব্যবধানে দুটি ডোজ দিতে হবে। প্রতি ডোজের দাম ২০০০-২৫০০ টাকা।
১৫ বছরের পরে দিলে তিনটি ডোজ নিতে হবে। প্রথমে একটা, এক ম্যাস ব্যবধানে আরেকটা এবং চার মাস পর তৃতীয় ডোজ নিতে হবে।
জরায়ু বড় হলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু?
জরায়ু বড় হওয়ার সঙ্গে ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক নাই। সাধারণ মানুষ জরায়ু বড় হওয়া বলতে বোঝে- কোনো মেয়ের একটি, দুটি বাচ্চা হওয়ার পর আলট্রাসনোগ্রাম করলে ওই জরায়ুকে বালকি বলে। অথবা কেউ এটাকে বলে জরায়ুটা বড় হয়ে গেছে। ক্যানসারের সঙ্গে জরায়ুর বড় হয়ে যাওয়ার বা বালকি হয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নাই। জরায়ুমুখের ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ আছে। জরায়ুর বডির যে ক্যানসার হয়, তারও সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ আছে। সেগুলো দেখেই ক্যানসার শনাক্ত করতে হয়। জরায়ু বড় হওয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই।
জরায়ুমুখের ক্যানসারের চিকিৎসা
জরায়ুমুখের ক্যানসারের কতগুলো ধাপ আছে। যে কোনো ক্যানসারের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপ হচ্ছে অ্যাডভান্সড স্টেজ। জরায়ুমুখের ক্যানসারও ঠিক তাই। প্রথম ও দ্বিতীয়র একটি স্টেজ পর্যন্ত জরায়ুমুখে ক্যানসার হলে অপারেশন করে ভালো করা সম্ভব। এই অপারেশনের নাম রেডিক্যাল হিসটেরেকটমি। এই অপারেশনের মাধ্যমে স্টেজ ১ এ, ১ বি এবং ২ এ পর্যন্ত চিকিৎসা করা যায়। যখন ২ এ থেকে অ্যাডভান্সড হয়ে তখন আর অপারেশনের পর্যায়ে থাকে না। তখন সেটাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়।
সাধারণত অপারেশনের পরও কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি লাগে। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় থাকে অর্থাৎ স্টেজ ১ এ বা স্টেজ ১ বি-তে যদি থাকে, তাহলে অপারেশন করলে ৯০ ভাগ নারীর সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্টেজ ২-তে যদি চিকিৎসা করানো যায় তাহলে প্রায় ৮০ ভাগ মাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। কিন্তু যখন স্টেজ ৩, ৪ হয়ে (অ্যাডভান্সড) যায়, তখন বেঁচে থাকার সম্ভাবনাটা কমে যায়।
ডা. ফারহানা খাতুন
সহযোগী অধ্যাপক
গাইনোকলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।