দাঁত ব্রাশ করার আদর্শ সময় কোনটি?
খাওয়ার পরে ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ না করলে দাঁতের বাইরের আবরণে ক্যালকুলাস হয়।
নিয়মিত যদি কোনো জিনিস পরিচর্যা না করা হয়, তাহলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তেমনই দাঁত ও মুখের সুস্থতায় নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
অনেকের ধারণা, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। আসলে ব্যাপারটা তাই নয়। নাস্তা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আরেকবার দাঁত ব্রাশ করবো।
দিনের যেকোনো সময় মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করা ভালো। যারা ইতোমধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও যেন মাউথওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করি এবং নিয়মিত দুইবেলা করে দাঁত ব্রাশ করি।
যারা ইতোমধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মুখে আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফাংগাল ইনফেকশন হতে পারে। অনেক ধরণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে মুখ শুকিয়ে যায়। এ কারণে মুখ জ্বালাপোড়া করে।
এক্ষেত্রে আমরা নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করবো। এছাড়াও হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে আমরা কুলি করতে পারি। এটা একটা ন্যাচারাল মাউথওয়াশের মতো কাজ করবে।
দাঁতের গোড়ায় খাবার জমে থাকতে পারে। যেমন কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার যদি বেশি খাই, আবার ফাস্টফুড জাতীয় খাবার যদি বেশি খাই, খাওয়ার পরপরই যদি কুলি না করি।
খাওয়ার পরে ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ না করলে দাঁতের বাইরের আবরণে ক্যালকুলাস হয়। অনেক সময় দাঁতের মাড়ি থেকে ক্যালকুলাস তৈরি হয়। রক্ত পড়া শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবরণ ভেদ করে ভেতরের দিকে ইনফেকশন তৈরি হয়। ক্ষয়য়হয়ে দাঁত ব্যথা শুরু হয়। শিরশিরে অনুভূতি হয়।