টিকা কি করোনা পরবর্তী পালমোনারি ফাইব্রোসিস কমায়?
টিকা কি করোনা পরবর্তী পালমোনারি ফাইব্রোসিস কমায়?
পালমোনারি ফাইব্রোসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টিকাদান। রোগীকে ইয়ারলি ফ্লু শর্ট নিতে হবে এবং তাকে একটা নিমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিতে হবে। এটা আসলে ব্রিথিং এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, ভ্যাক্সিনেশন, ফার্মাকলোজিকাল থেরাপিসহ ওই ব্যক্তির পরিপূর্ণ নিউট্রিশন দিয়ে রিহ্যাবিলিটিলেশনের মাধ্যমে আমরা করোনা পরবর্তী ফাইব্রোসিস রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে অবশ্যই সময় লাগলেও তার লাঙ্কের অনেকাংশে আমরা উন্নতি করাতে পারি।
এ ওষুধ কতোদিন ব্যবহার করা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। তবে রোগীর বিভিন্ন টেস্ট শেষে আমরা তিন, ছয়, ১২ মাস পর পর সিটি স্ক্যান করি। যদি এতে দেখা যায়, রোগীর লাঙ্ক ফাইব্রোসিস ক্রমাগত অবনতি ঘটছে তখন এন্টিফাইব্রোটিক ড্রাগ, ব্রেথিং এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, ফ্লু-শর্ট এবং অন্য যে উপাদানগুলো আছে তা চালিয়ে যেতে হবে। করোনা পরবর্তী পালমোনারি ফাইব্রোসিস যতদিন স্থায়ী হবে ততোদিন এন্টিফাইব্রোটিক ড্রাগ চালিয়ে যেতে হবে।
যদি ব্যক্তি টিকা গ্রহণ করে সে যদি কোভিডে আক্রান্ত হয় তবে তার মাইল্ড কোভিড হবে। এই ক্ষেত্রে তার টিকা নেয়া থাকলে তার যদি কো-মরবিডিটি না থাকে তাহলে তার পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হউয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
আবার যদি ব্যক্তির মালটিপল আনকন্ট্রোলড কো-মরবিডিটি থাকে, অর্থাৎ, সে যদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকে এবং কোভিডে আক্রান্ত হয় তাহলে তার পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হউয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।