তরুণ বয়সে আইবিডি হলে ঝুঁকি বেশি, করণীয়
বেশি বয়সে গিয়ে প্রথম আইবিডি হলে ঝুঁকি কম
ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (আইডিটি) খাদ্যনালীর প্রদাহজনিত রোগ। এতে খাদ্যনালী বিশেষ করে ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদন্ত্রে এক ধরনের প্রদাহ এবং আলসার বা ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে খাদ্যনালী চিকন হয়ে যেতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি এ রোগের প্রকৃত কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আমাদের দেশেও দিনে দিনে আক্রান্তের হার বাড়ছে। সব বয়সীদেরই আইবিডি হতে পারে। তবে আক্রান্তের সম্ভাবনা বিবেচনায় কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত, ১৬ বয়সের আগে; দ্বিতীয়, ১৭ থেকে ৪০ বছর এবং তৃতীয়, ৪০ বছরের পর থেকে বাকি জীবন।
বেশি বয়সে গিয়ে প্রথম আইবিডি হলে ঝুঁকি কম। কিন্তু কম বা তরুণ বয়সে আইবিডি শুরু হলে এটির ঝুঁকি বেশি। যদিও আইবিডি হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে তরুণ বয়সে হলে ঝুঁকি বেশি হয়।
নির্দিষ্ট কোনো খাবারের মাধ্যমে আইবিডি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। তবে কিছু খাবার আইবিডি রোগীর হজমে সমস্যা করে। কিছু খাবার আছে যা সহজে হজম হয় এবং রোগীদের জন্য ভালো। লো প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার উপকারী। তবে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার আইবিডি আক্রান্তদের হজমের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
অবশ্য পাশ্চাত্যে রোগটি বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ মনে করা হয় তাদের খাদ্যাভাসকে। আমাদের দেশেও ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় রোগটিতে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। যদিও এখন পর্যন্ত তা কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি।
তবে আমরা সব সময় জাঙ্ক ফুট খেতে নিরুৎসাহিত করে থাকি। এ ধরনের খাবার সুস্থদের জন্যও ক্ষতিকর। আশার বিষয় হলো, আমাদের দেশের বেশিরভাগ রোগী গরিব, যারা কখনো ফাস্টফুডের দোকানেই যান না।
আইবিডি রোগ সাধারণ রোগের মতো নয়। এটি নিয়ন্ত্রণে সামাজিকভাবে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পরিবারের। পরিবারকে সব সময় মানসিক ও আর্থিকভাবে আক্রান্তের পাশে থাকতে হবে। কারণ আইবিডি হলে রোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং এর চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। এজন্য রোগীকে বোঝাতে হবে, আইবিডি সম্পূর্ণ নিরাময় না হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।