কীভাবে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ ও এর জটিলতা নির্ণয় করা হয়?
এ রোগের সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। এতে মা এবং গর্ভের সন্তান উভয়ের ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ খুবই খারাপ একটি অবস্থা। এ রোগের সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। এতে মা এবং গর্ভের সন্তান উভয়ের ক্ষতি হতে পারে।
আমাদের শরীরে যে রক্ত রয়েছে তার অবস্থাকেই আমরা রক্তচাপ বলি। রক্তচাপ দুই ধরনের হয়ে থাকে। রক্তচাপের দুইটা ধাপ রয়েছে। একটা নরমাল আর অন্যটা আফার লেভেল। নরমাল বলতে বোঝায় ১১০ থেকে ১৩০ এর মধ্যে ওপরেরটা।
যখন প্রেগন্যান্সি অবস্থায় বা সন্তান জন্মদানের ২০ সপ্তাহ আগে যদি প্রেশারটা নরমাল অবস্থা থেকে বেড়ে যায়, সেটাকে আমরা বলি উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন ইন প্রেগন্যান্সি। বাচ্চা হওয়ার ১২ সপ্তাহ পরেও এটা হতে পারে।
আমরা কিন্তু কখনো প্রি-একলামশিয়া দূর করতে পারি না। একলামশিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু কিছু পরীক্ষা আগে থেকেই করে থাকি, যাতে এটা থেকে রক্ষা পেতে পারি। এক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা মায়ের জন্য এবং কিছু পরীক্ষা বাচ্চার জন্য।
মায়ের কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) করে হিমোগ্লোবিন পার্সেন্টিজ দেখা যেতে পারে। টোটাল প্লেটলেট কাউন্ট দেখতে পারি। আরও কিছু পরীক্ষা করতে করি। আর এগুলো হলো সিবিসির মাধ্যমে।
আর ২৪ ঘণ্টায় কতটুকু প্রোটিন যাচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। এছাড়াও টোটাল প্রোটিন এবং ক্রিয়েটিন রেশিও দেখতে হবে। তাছাড়াও আরেকটা ভালো উপায় ইউরিন টেস্ট করতে পারি। এটাতে আমরা বাচ্চার অবস্থা বুঝতে পারি।
এছাড়াও কিছু লিভার সংক্রান্ত টেস্ট করানো হয়। রক্ত জমাট বাঁধার যে ক্ষমতা রয়েছে সেটাও খেয়াল এবং পরীক্ষার মধ্যে আনতে হবে।
ডা. শাফেয়া খানম
সহযোগী অধ্যাপক
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ