পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক যে কাজগুলো করতে হবে
আগুনে পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ১২ ঘণ্টা হচ্ছে গোল্ডেন আওয়ার। যত তাড়াতাড়ি তারা হাসপাতালে আসবে, তত ভালো।
প্রায়শই দেখা যায়, মানুষ যখন দগ্ধ হয়, আতঙ্কিত হয়ে খুব দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। এটা করা যাবে না, আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে যেতে হবে। পরিধেয় কাপড় খুলে প্রচুর পানি ঢালতে হয় যাতে আগুনের তীব্রতা কমে যায়। যদি আতঙ্কিত হয়ে কেউ দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে কিন্তু আগুনের তীব্রতা অনেক বাড়ে।
পুড়ে গেলে কেউ টুথপেস্ট দেয়, কেউ সিঁদুর লাগায় আবার অনেকে গাছের পাতা লাগায়- এগুলো কিন্তু কিছুতেই করা উচিত নয়। কারণ, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় দগ্ধ রোগীদের একটা নিয়মের মধ্যে চিকিৎসা করতে হয়। একটা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেশন আছে, সেভাবে চিকিৎসা করতে হয়।
কোনো মলম-টলম লাগিয়ে হাসপাতালে আসলে, তাহলে কিন্তু আমরা সেটা ভালো করতে পারি না। সারা বাংলাদেশে বার্নের ইউনিট আছে। আমরা যত দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবো, ততই ভালো।
পোড়া অংশ শরীরের ১০ শতাংশও যদি বাচ্চাদের হয়, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরের ১৫ শতাংশ যদি পুড়ে যায়, তাহলেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সুতরাং যত দ্রুত আমরা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারি, ততই কিন্তু রোগী বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আগুনে পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ১২ ঘণ্টা হচ্ছে গোল্ডেন আওয়ার। যত তাড়াতাড়ি তারা হাসপাতালে আসবে, তত ভালো। সকাল ৮টায় যদি দগ্ধ হয়, আর তাদের আসতে যদি ১ ঘণ্টা দেরি হয়, তাহলে কিন্তু অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। মানে ১৫ শতাংশের বেশি যখন পুড়ে যায়, তখন এই এক ঘণ্টা কিন্তু অনেক বিরাট সময়।
যদি কেউ দগ্ধ হয় খুব তাড়াতাড়ি যত দ্রুত সম্ভব একটা অন্তত ওরাল স্যালাইন মানে কিছু একটা খাইয়ে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে। কারণ হাসপাতালে না আনলে তো স্যালাইন দিতে পারবে না। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারলে ভালো। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে হাসপাতালে নিয়ে আসলেই ভালো।