রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস কী এবং কেন হয়?

অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা ও অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম
2021-11-05 22:07:29
রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস কী এবং কেন হয়?

রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লসের ফলে নারীরা অনেক হতাশায় ভোগেন। সংসার জীবনে অনেক মনোমালিন্য হয়।

বারবার গর্ভাবস্থা লস হওয়ায় অনেক নারীই অনেক হতাশায় ভোগেন। চিকিৎসকরা প্রেগন্যান্সির ২০ সপ্তাহের মধ্যে তিন বা ততোধিকবার গর্ভ নষ্ট হয়ে যাওয়াকে রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস বলে থাকেন।

প্রেগন্যান্সি লস কী?

যখন কোনো প্রেগন্যান্সি ২০ সপ্তাহের পূর্বে তিন বা ততোধিকবার নষ্ট হয়ে যায়, তখন তাকে রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস বলে। সাধারণত ১২ থেকে ১৪ সপ্তাহের আগেই এ ধরনে গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়।

রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লসের প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক। ব্যক্তি, পরিবার এবং সামাজিক জীবনে এর অনেক প্রভাব রয়েছে।

রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লসের ফলে নারীরা অনেক হতাশায় ভোগেন। সংসার জীবনে অনেক মনোমালিন্য হয়। এছাড়া রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সির ফলে যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় তা অনেক ব্যয়বহুল।

রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লসের কারণ

ইউটেরাসের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস হয়ে থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হরমোন ডিজঅর্ডার এবং পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের কারণে রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস হয়ে থাকে।

ড্রাগ, স্মোকিং, সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টর রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লসের কারণ হয়ে থাকে। তবে রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লসের পরও কিছু কিছু নারী হেলদি প্রেগন্যান্সি রান করে থাকেন।

সাধারণত তিনটি ক্লিনিক্যাল প্রেগন্যান্সি লসের পর ইনভেস্টিগেশন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ ধরনের প্রেগন্যান্সি লসের কারণগুলো শনাক্ত করতে হয়। যাদের ৩৫ বছর বয়স, তাদের দুটি বাচ্চা হওয়ার পর পরীক্ষা করানো উচিত।

ইনভেস্টিগেট করার ক্ষেত্রে কিছু কারণ শনাক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট মায়ের বয়স যদি ৩৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে কারণ হচ্ছে তার ওভাম ভালো ছিল না। এছাড়াও অনিয়মিত পিরিয়ডও একটি কারণ।

কারও ১২ সপ্তাহের আগে যদি প্রেগন্যান্সি লস হয়ে থাকে, তাহলে সেটা ক্রোমোজোমাল ডিফেক্টের কারণে হয়ে থাকে। আর যদি ১২ সপ্তাহের পর প্রেগন্যান্সি লস হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে কারণ হচ্ছে ফসফোলিপিড সিনড্রোম।

অতিরিক্ত ওজন থাকলেও রিকারেন্ট প্রেগন্যান্সি লস হয়ে থাকে। এছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে যেমন- ইউটেরাস এনাটোমিকাল ডিফেক্ট, কিডনি এনোমেলি ডিফেক্ট, ওভারিয়ান রিজন, ইমিউনোলজিক্যাল রিজন ইত্যাদি।

 

অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা

সাবেক বিভাগীয় প্রধান

গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিভাগ

এনাম মেডিকেল কলেজ

 

অধ্যাপক ডা. কোহিনূর বেগম

গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিভাগ

পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল


আরও দেখুন: