উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, কিভাবে বুঝবেন
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, কিভাবে বুঝবেন
আমাদের শরীরে যে রক্তনালী আছে, সেখানে সব সময় রক্ত একটি নির্দিষ্ট চাপে প্রবাহিত হয়। রক্তের এ চাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়।
রক্তচাপ সব সময় একই রকম থাকে না। এটা পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক মাত্রা বলা হয় সিস্টোলিক ১৩০ মিলিমিটার মার্কারির নিচে। আর ডায়াস্টোলিক ৮০ মিলিমিটার মার্কারি অথবা তার কম।
সিস্টোলিক ১৩১-১৩৯ অথবা ডায়াস্টোলিক ৮১-৮৯ হলে সেটাকে বলা হয় হাই-নরমাল। এরপর ‘গ্রেড ওয়ান’ আর ‘গ্রেড টু’। গ্রেড ওয়ান হলো, সিস্টোলিক ১৪০-১৫৯ আর ডায়াস্টোলিক ৯০-৯৯ মিলিমিটার মার্কারি। এই দুটি বা যেকোনো একটি এই মাত্রার ভেতর আসলেই তাকে আমরা বলব ‘গ্রেড ওয়ান’। ‘গ্রেড টু’ হলো সিস্টোলিক ১৬০ বা এর বেশি আর ডায়াস্টোলিক ১০০ বা এর বেশি।
তবে রক্তচাপ বেড়ে গেলেই রোগীকে ওষুধ দেয়া যাবে না। তার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন, হঠাৎ কেউ যদি বাহির থেকে এসে রক্তচাপ পরিমাপ করেন তাহলে তার বেশি দেখাবে। অনেকের দুশ্চিন্তা বা শরীরচর্চার কারণেও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপ কী কারণে বাড়ল সেটা নির্ধারণ করে ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেকের সঠিক রক্তচাপ বোঝার জন্য দুই হাতই মেপে দেখার প্রয়োজন হয়।