শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হলে কত বছর বয়সে চিকিৎসা নিতে হয়?

ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন
2021-10-05 21:38:49
শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হলে কত বছর বয়সে চিকিৎসা নিতে হয়?

সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাবে।

আসলে একটা বাচ্চা যে বড় হয়, সে এক দিনে বড় হয় না। সময়মতো জন্মা নেওয়ার পরে তার বুলি ফোটা, হামাগুড়ি দেওয়া, দাঁড়ানো বা হাঁটতে শেখা, তার স্কুলের পারফরম্যান্স, তারপর স্কুলের অন্যান্য বাচ্চাদের মতো তার উচ্চতা একই রকম হচ্ছে কিনা- এগুলো সবই খেয়াল করতে হবে।

পরিবারের সদস্যরা যখন খেয়াল করবে যে তার একই বয়সের বাচ্চার চেয়ে তার গ্রোথ (বৃদ্ধি) কম, অথবা গ্রোথ পরিমাণ মতো হচ্ছে না বা কম লম্বা হচ্ছে, তখনই তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনারা শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে রিপোর্ট করতে পারেন আবার হরমোন বিশেষজ্ঞের কাছেও রিপোর্ট করতে পারেন। তখন আমরা পরীক্ষা করে দেখি যে, এটা কি রোগ নাকি স্বাভাবিক লম্বা হওয়ার যে মাত্রা, বয়স অনুযায়ী বাচ্চাটা সেটার মধ্যেই আছে কিনা। যদি এটা অসুখ হয়, তাহলে এটা চিকিৎসা করলে খুবই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

ছেলে বা মেয়েদের ক্ষেত্রে খুব দেরি করে আসলে যেটা হয়, সাধারণত ১৫ বছর পর্যন্ত হাড়ের গ্রোথ ভালোই হয়। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে যাদের ৮/৯ বছরে মাসিক হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের এটা চিকিৎসা করে মাসিক বন্ধ করতে হবে। নয়তো মাসিকের হরমোন এসে লম্বা হওয়ার হরমনটাকে জট লাগিয়ে দেয়। এর ফলে তাদের ফাইনাল হাইট (উচ্চতা) কমে যায়।

সুতরাং মেয়েদের ক্ষেত্রে যাদের স্বাভাবিক বয়সে মাসিক হয়, তাদের লম্বা হওয়ার সময় থাকে মাসিক হওয়ার ২-৩ বছর বয়স পর্যন্ত। সুতরাং যাদের মনে হচ্ছে উচ্চতা কম, তাদের মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার আগেই আসতে হবে চিকিৎসকের কাছে। অথবা মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই চলে আসতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

আর ছেলেদের ক্ষেত্রেও তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে বোন (bone) ফিউশন হওয়ার আগেই, যাতে আমরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে পারি।

এই জিনিসগুলো যদি আমরা জানি, তাহলে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারবো। কারণ ২২ বছর হয়ে গেলে তখন যদি উচ্চতা কম থাকে, তখন চিকিৎসকের কাছে গেলে আর কিছুই করার থাকে না।


আরও দেখুন: