ডায়াবেটিস নিয়ে যা না জানলেই নয়
গর্ভাবস্থা থেকেই আসলে এ রোগের বীজ সন্তানের শরীরে বপন হয়
ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক ব্যাধিগুলো বর্তমানে নীরব ঘাতক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
তবে ডায়াবেটিসকে ভয় পাওয়ার একদম কারণ নেই। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সঠিকভাবে নেয়া হলে যেকোনো রোগী অন্য সবার মতো সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। অনেকে মনে করেন, ডায়াবেটিস হয়েছে মানে তার আয়ু কমে গেছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
আপনি চিকিৎসা নিলে এবং জীবনযাত্রায় কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য রোগ থেকেও সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
নারীদের গর্ভাবস্থায় অবশ্যই সুগার পরীক্ষা করা উচিত। বিশেষ করে যারা একটু বয়স করে সন্তান নিচ্ছেন বা ডায়াবেটিক ফ্যামিলির, ওজনের আধিক্য রয়েছে, তারা রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ ও নিয়মিত চিকিৎসা নিবেন।
আক্রান্তরা ঘরে বসেই ডায়াবেটিস টেস্ট করেন এবং অন্তত সাত দিন পরপর টেস্ট করবেন। খাওয়ার আগে কমপক্ষে ৬- এর নিচে এবং খাওয়ার পরে কমপক্ষে ৭- এর নিচে রাখতে হবে। যদি কখনো সন্দেহ হয়, এটি বেড়ে গেছে বা বেশি কমে গেছে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
গর্ভাবস্থা থেকেই আসলে এ রোগের বীজ সন্তানের শরীরে বপন হয়। তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্যে অনুরোধ থাকবে, আপনারা অবশ্যই গর্ভাবস্থায় সুগার লেভেল পরীক্ষা করে নিবেন।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক ফেডারেশনের ২০১৯ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, এদেশে ডায়াবেটিক রোগী ছিল ৮৪ লাখের মতো। সেটি হয়ত এখন বেড়ে কোটির কাছাকাছি হয়ে গেছে। আমাদের দেশে যেহেতু কম বয়সেই টাইপ-২ ডায়াবেটিস হচ্ছে, তাই আপনারা অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ করবেন এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন।