শিশুর দাঁতের যত্ন কখন শুরু হয়
গর্ভকালীন মায়েরা অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে কিছু রয়েছে, যা শিশুদের দাঁতের সমস্যা করে
অনেকে জিজ্ঞেস করেন, শিশুদের দাঁত কখন থেকে ব্রাশ করব? একটি নাকি কয়েকটি ওঠার পর ব্রাশ করাব? আসলে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই শিশুর দাঁতের যত্ন শুরু করা উচিত।
গর্ভকালীন মায়েরা অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে কিছু ওষুধ গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। কারণ এসব ওষুধের মধ্যে কিছু রয়েছে, যা শিশুদের দাঁতের সমস্যা করে থাকে। এসব ওষুধ দাঁতের সাথে মুখেরও ক্ষতি করে। অনেক সময় দেখা যায়, গর্ভকালীন ঘনঘন এক্স-রে করা হয়। এক্স-রের প্রভাব গর্ভের সন্তানের ওপর পড়ে।
শিশু জন্মের পর ছয় মাস বয়সে প্রথম দাঁত আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সময় কম-বেশি হতে পারে। সন্তানের প্রথম দাঁত ওঠা প্রত্যেক মা-বাবার জন্য ভীষণ আনন্দের। শিশুকে ফিডারে দুধ খাওয়ালে ফিডারের শক্ত নিপলের চাপে তার মাড়ি উঁচু হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় শিশুরা মুখে আঙুল দিয়ে থাকে। এতে দাঁত উঁচু-নিচু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দুধ খাওয়ার পর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করতে হয়। না হলে দাঁতের ওপর দুধ জমে থেকে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে একটি আঙুলে পরিষ্কার সুতি কাপড় নিয়ে শিশুর দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে। দুধ খাওয়ার পর পানি পানের অভ্যাস করাতে হবে। এখন ভালো মানের ফিঙ্গার ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলো দিয়েও দাঁত পরিষ্কার করা যেতে পারে।
শিশুরা ব্রাশ করার ক্ষেত্রে পেস্ট ব্যবহার করতে পারবে। তবে তা কম নিতে হবে। শিশুদের জন্য আলাদা টুথপেস্ট বাজারে রয়েছে। বড়দের টুথপেস্ট দিয়ে শিশুদের দাঁত ব্রাশ করানো ঠিক নয়।
শিশুদের দুধ দাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত আসে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের দুধ দাঁত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত (ক্ষয়) হলে ফেলে দিতে বলেন অভিভাবকরা। এটি করা যাবে না। প্রত্যেকটি দাঁত ওঠার এবং পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। তার আগে দুধ দাঁত ফেলে দেয়া হলে, স্থায়ী দাঁত উঠলে তা আঁকাবাঁকা হতে পারে। এক্ষেত্রে দাঁতের ক্ষয় হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজন মনে করলে তিনি ফিলিং করে দিবেন।