উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে করণীয়
অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস হয়েছে মানে আয়ু কমে গেছে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা
অনেকে আছেন, যার ডায়াবেটিসের সাথে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। আমরা এমন রোগীকে প্রথমেই সুষম খাদ্য ও বেশি লবণ না খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে বলে থাকি।
ওজন যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। আর ব্লাড সুগার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। না হলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেলে রক্তচাপ আরও বাড়বে।
যাদের আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, লবণ তাদের কিডনির ক্ষতি করতে পারে এবং পরবর্তীতে ডায়াবেটিস হলে সেটাও কিডনির জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
আবার ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে এবং সেটি আবার কিডনির ক্ষতি করতে পারে। সুতরাং সুষম খাদ্য খাওয়া, লবণ কম খাওয়া, নিয়মিত শরীর চর্চা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের কথায় আসা যাক। এখানে একটি আন্ডার-কমপালশনসে চলে আসি বিশেষ করে এসিই ইনহিবিটরস যে ওষুধ, সেগুলো আমরা প্রথমে ব্যবহার করব অথবা এআরবি সেকেন্ড লাইন ব্যবহার করব। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় উচ্চ রক্তচাপ থাকলে একটি ওষুধে কাজ হয় না। তখন আমরা দ্বিতীয় ওষুধ হিসেবে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারে আসতে পারি।
সেটিতেও না হলে আমরা তৃতীয় ওষুধ হিসেবে বিটা-ব্লকারে আসতে পারি। এখন বিটা-ব্লকার যেহেতু ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স করে সেজন্য এমনভাবে এটি বেছে নিতে হবে যেনো ইনসুলিন কম রেসিস্ট্যান্স করে এবং হার্ট ফেইলিয়ার থেকে সুরক্ষা দেয়। যেমন, কার্ভেডিলল আছে, বিসপ্রলল আছে— এ ধরনের বিটা-ব্লকারগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি।
চতুর্থ লাইনে আমরা ডায়াবেটিসের ওষুধ দিয়ে থাকি। সুতরাং চারটি ওষুধ আসলে লেগে যায়। তো ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম ওষুধ হিসেবে এসিই ইনহিবিটরস সবচেয়ে ভালো। যদি সেটাতে কন্ট্রা-ইন্ডিকেশনস থাকে, তাহলে আমরা এআরবি দিয়ে থাকি।
তবে মনে রাখতে হবে, এসিই ইনহিবিটরস এবং এআরবি কম্বিনেশনস এক সাথে কখনোই দিবেন না। এতে রেনাল ফেইলিয়রের প্রবণতা বাড়তে পারে।
অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস হয়েছে মানে আয়ু কমে গেছে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এ থেকে বের হতে হবে। আপনি চিকিৎসা নিলে এবং জীবনযাত্রায় কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি আপনার অন্যান্য রোগ থেকেও সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।