করোনার এখনকার উপসর্গ ও করণীয়
রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বেশি থাকলে উপসর্গ দেখা দেয় না। কিন্তু তিনি ঠিকই ভাইরাসের বাহক
করোনা মহামারিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত। এখন সংক্রমণ ও মৃত্যু নিম্নমুখী হলেও ভাইরাসটি একেবারে চলে যায়নি। করোনায় আক্রান্তদের গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হয় মূলত শ্বাসকষ্ট শুরু হলে। অনেকে আগে থেকে বুঝতে না পারার কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।
করোনায় আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট অন্যতম লক্ষণ। এর আগেই অবম্য জ্বর, খুসখুসে শুকনো কাশি হয়। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করে মাথাব্যথা হতে পারে। পেটে সমস্যা, জয়েন্টগুলোতেও ব্যথা হতে পারে। বর্তমানে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
করোনায় আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অক্সিজেনের মাত্রা রক্তে কমে যাচ্ছে। কিন্তু রোগী তেমন বুঝতে পারছে না। এই উপসর্গ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী ও চিকিৎসকদের ধোঁকা দিচ্ছে। আর ফুসফুস আক্রান্ত হয়েছে কিনা বুঝতে সিটিস্ক্যান খুবই জরুরি।
করোনার সংক্রমণ মৃদু হলে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। বাসায় আলাদা থেকে বিশ্রমা নিতে হবে। চিকিৎসার নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর তিনি স্বাভাবিক কার্যক্রমে যুক্ত হবেন। এগুলো না মেনে তিনি যদি বাইরে যান, অন্যরা আক্রান্ত হবে। সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে মৃদু আক্রান্তদের কোনোভাবেই বাইরে যাওয়া ঠিক নয়।
এখন অনেকের শরীরে উপসর্গ নেই। কিন্তু তারা করোনা পজিটিভ। এসব লোকজন অনায়াসে ঘোরাফেরা করেন, ফলে সংক্রমণ বেড়ে যায়। শরীরে রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বেশি থাকলে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। তার হয়তো কোনো সমস্যাও হচ্ছে না। কিন্তু তিনি ভাইরাসের বাহক হিসেবে অন্যদের বিপদে ফেলছেন। এগুলো চিহ্নিত করতে পরীক্ষা বাড়ানো দরকার।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। এটি করা হয় উপসর্গের তীব্রতা কমাতে। পাশাপাশি প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য আমরা ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি’ দিয়ে থাকি। অবস্থা গুরুতর হলে বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিয়ে নিতে হবে।