করোনাকালে ৮ কাজে মিলবে সুস্থতা
করোনায় বেশকিছু নিয়ম ও খাদ্যাভাস মানা সম্ভব হলে সুস্থ থাকা যাবে
করোনাকালে সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। কারণ বিভিন্ন রোগে ভুগলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এতে করোনাভাইরাস সহজেই আক্রমণ করে বসে। তাই বেশকিছু নিয়ম ও খাদ্যাভাস মানা সম্ভব হলে সুস্থ থাকা যাবে।
১. আমরা খাবার থেকে খুব বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাই না। করোনার কারণে বেশিভাগ সময় ঘরে থাকায় সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাচ্ছি না। অথচ ভিটামিন ‘ডি’র সবচেয়ে ভালো উৎস সূর্যের আলো। এজন্য প্রতিদিন বারান্দা কিংবা ছাদে অন্তত ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকতে হবে।
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম অ্যাবসোরপশনের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ দরকার। দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার, কাঁটাসহ ছোট মাছ ও সামুদ্রিক মাছ খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে।
৩. ধূমপান, পান, জর্দা, অতিরিক্ত চা পানের মতো কিছু খারাপ অভ্যাস রয়েছে। করোনাকালে এসব অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত।
৪. তামাকদ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে না রাখতে পারলে আমরা যতই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাই না কেন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে। রাতে দেরি করে ঘুমানোর কারণেও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। সুতরাং সুস্থতার জন্য এগুলো ত্যাগ করতে হবে।
৫. পরিবারে কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হলে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। এ সময় খাবার ও শরীর চর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস, প্রেসার নিয়ন্ত্রণের রাখতে হবে। ডায়ালাইসিস নিলে তা নিয়মিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে।
৬. অতিরিক্ত রেডমিট, তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার এড়ালে শরীর ফিট থাকবে। সঠিক প্রক্রিয়া মেনে আমাদের প্রতিদিন খাবারে অবশ্যই ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিশন রাখতে হবে।
৭. কার্বোহাইড্রেট প্রোটিনযুক্ত খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে। সপ্তাহে একদিন মাংস খাওয়ার পাশাপাশি শাকসবজি ও সালাদ বেশি করে খেতে হবে। এটি মেনে চললে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফ্যাটি লিভার যাদের রয়েছে, তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।
৮. আমরা সব সময় সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেই। এটি আমাদের শরীরের ক্যানসার সেলকে জাগ্রত করে। এর পরিবর্তে ঘরে তৈরি বোরহানি খাবেন। এটি হজম প্রক্রিয়াকে আরও ভালো করবে। আর করোনা মহামারিতে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিতে হবে।