স্থূলতায় শিশুর ক্ষতি, প্রতিরোধে ৫ উপায়

ডা. রবি বিশ্বাস
2021-08-15 14:15:38
স্থূলতায় শিশুর ক্ষতি, প্রতিরোধে ৫ উপায়

সব সময় মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধই উত্তম

স্থূলতা বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর হার দ্রুত বাড়ছে। করোনাকালে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও এতে কিছুটা বাড়তি ভূমিকা রাখছে।

শিশুর স্থূলতা ও তার পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই এটি প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। যদিও জন্মগত, হরমোনজনিত ও অন্য কিছু কারণে ওজন বাড়লে, সুনির্দিষ্ট কারণ ভিত্তিক চিকিৎসা দরকার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে কারণে স্থূলতা দেখা দেয়, সেগুলো প্রতিরোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নিলে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন লাভ করা যাবে।

১. শিশু বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত শিশুর ওজন পরিমাপ করে স্থূলতার ঝুঁকি নিরূপন করবেন এবং তা হতে হবে অল্প বয়স থেকেই। কারণ স্থূল শিশু বড় হয়েও এটি থেকে যায় এবং ক্রমাগত জটিলতার দিকে এগিয়ে যায়।

২. ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে এবং ছয় মাস পর বাড়তি খাবার দেয়ার পরও দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে।

৩. শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে অবশ্যই সুষম পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ঘরে তৈরি খাবার (যেমন, খিঁচুড়ি) দিতে হবে। দোকান থেকে কেনা যেকোনো খাবার ও মিষ্টি পানীয় দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর পরিবর্তে আস্ত ফল ও ঘরে তৈরি ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে।

৪. শিশুর টিভি দেখা ও অন্য ভিডিও গেমসের সময় সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৫. বয়সভেদে শিশু ও কিশোরদের দিনে কমপক্ষে ৩০-৬০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করার ব্যবস্থা করতে হবে।

মা-বাবা যদি শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ ও দৈনন্দিন কায়িক পরিশ্রমের ব্যাপারে সজাগ থাকেন, তাহলে স্থূলতা সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধই উত্তম।


আরও দেখুন: