একই সাথে ডেঙ্গু ও করোনা হলে করণীয়

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন
2021-08-14 15:34:18
একই সাথে ডেঙ্গু ও করোনা হলে করণীয়

দুটি রোগ এক সাথে হয়ে গেলে সিপিআর করবে এমন সম্ভাবনা খুব কম

করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যুর মধ্যে শুরু হয়েছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের শরীরে প্রায় একই রকম উপসর্গ দেখা যায়। এতে করে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও সঠিক রোগটি শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়েন।

দুটি রোগ এক সাথে হওয়ার সম্ভাবনা
আমাদের দেশেও একই সাথে করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। দুটি রোগ এক সাথে হয়ে গেলে সিপিআর করবে এমন সম্ভাবনা খুব কম। করোনাকে ক্লিনিক্যালি ভাগ করা হয়েছে। মাইল, মডারেট, সিভিআর ও ক্রিটিকাল।

একইভাবে ডেঙ্গুও ভাগ করে ফেলা যায়। আমাদের ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইনগুলো রয়েছে। মাথাব্যথা তীব্র হতে হবে। তিন থেকে চারবারের বেশি বমি হতে হবে। ডায়রিয়া, তীব্র অবসাদগ্রস্ত হবে। অজ্ঞানের মতো হয়ে যাচ্ছে বা খিঁচুনি হয়ে যাচ্ছে। অথবা শরীরের যেকোনো স্থান থেকে রক্তপাত হচ্ছে এবং সেটি দাঁতের মাড়ি থেকে কিংবা নাক থেকেও হতে পারে। কালো পায়খানা হতে পারে।

নারীদের ক্ষেত্রে হয়তো মাসিকের রক্তপাত বেশি হতে পারে। তখন অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। কিডনি ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর এ রকম রোগীদের ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া আরও জরুরি। আর সিভিআর হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

চিকিৎসায় করণীয়
করোনা হলে এক ধরনের চিকিৎসা। আর ডেঙ্গুর সাথে করোনা হলে আরেক ধরনের চিকিৎসা নিতে হবে। দুটি রোগ এক সাথে হলে কনজারভেটিভ দিতে হবে। ডেঙ্গুতে আপনার ওয়ার্নিং সাইনসহ অথবা স্পেয়ার ডেঙ্গু হয়, তাহলে প্লাটিলেট অবশ্যই ১ লাখের নিচে চলে আসবে। এমনও হতে পারে ৫০ হাজার, ১০ হাজার, ৫ হাজারেও আসতে পারে। অনেক রোগীর ২ বা ১ হাজারেও চলে আসতে পারে। তখন তাকে প্লাটিলেট দিতে হয়।

আর শুধু করোনা হলে আপনাকে অন্য চিন্তা করতে হবে। ব্যথা প্যাথাফিলজি হবে। করোনারও ক্লিনিক্যাল স্টেজ আছে। মাইল, মডারেট, সিভিআর ও ক্রিটিকাল। আর্টিফিশিয়াল যার কোনো অস্তিত্বই নেই। যে সমস্ত রোগীদের উপসর্গ নাই, তাদের তিন-চার দিন পরে সিমটম হয়ে যাবে কি না, এটা কেউ বলতে পারবে না।

রোগীর সিমটম শুরু হয় যেমন, সর্দি হচ্ছে, গলা ব্যথা করছে, হালকা কাশি, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা ও জ্বর হচ্ছে। অনেক সময় রোগীর অক্সিজেন সেচুরেশন খুবই ভালো ৯৫, ৯৬, ৯৯ থাকে এবং রোগীদের মডারেট নিউমোনিয়ার মতো হয়ে যাবে কি না, ৯০ এর নিচে অক্সিজেন সেচুরেশন চলে আসবে কিনা, এ পরিস্থিতি জানা কঠিন।

যাদের নিউমোনিয়া হয়ে যাচ্ছে, সেসব বিষয়গুলোতে দেখতে হবে সিআরপি, ডি-ডিমার, এলডিএইচ— এ তিনটার মধ্যে কোনটা বেশি এবং সেটি ৭৫-এর বেশি সিআরপি কিনা, ডি-ডিমার থ্রি পোল্ডের বেশি কিনা, এলডিএস থ্রি পোল্ডের বেশি কিনা দেখতে হবে। এমন হলে আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ করোনা হয়তো সিভিআরের দিকে চলে যাচ্ছে অথবা রোগীর সিমটম রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।


আরও দেখুন: