সন্তান প্রসবের পর দীর্ঘদিন মাসিক বন্ধ থাকলে করণীয়
স্ত্রীর বয়স ২৫-৩০ বছরের বেশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
সন্তান প্রসবের পর অনেকের বেশ কয়েক মাস মাসিক বন্ধ থাকে। এমনও রোগী আসেন, যার ১১ মাস মাসিক হচ্ছে না। এ সমস্যাকে আমরা মেডিকেলের ভাষায় ইলেকট্রিশিয়ান অ্যামেনোরিয়া বলে থাকি।
সাধারণত যেসব মা বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান, তাদের একটা হরমোন বের হয়। দুধ তৈরির ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ওভ্যুলেশন সাসপেন্স করে রাখে। ওভ্যুলেশন না হলে মেয়েদের মাসিক হবে না। যারা দিনে অন্তত দুবার এক্সক্লুসিভ বাচ্চাকে দুধ পান করান, তাদের হরমোন লেভেলের কারণে মাসিক হয় না।
প্রেগনেন্সির অন্যতম শর্ত মাসিক হতে হবে। আপনার আগে ওভ্যুলেশন হবে, তারপরই মাসিক হবে। আপনি যদি কন্ট্রাসেপশনের কনফিডেন্ট না হয়ে থাকেন, প্রথমে আপনাকে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রেগনেন্সি পরীক্ষা নেগেটিভ থাকলে আপনাকে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড করাতে হবে বিষয়টা এমন নয়। অনেকের ক্ষেত্রে ১৪-১৮ মাস পরও মাসিক হয়ে থাকে। অবশ্য প্রেগনেন্সি পজিটিভ এলে আলাদা কথা।
এক্ষেত্রে আমরা বলে থাকি, বাচ্চার বয়স ছয় মাস পার হলে পিল খাবেন। এটা শুরু করলে দেখবেন আপনার নিয়মিত মাসিক শুরু হয়েছে। তবে অবশ্যই আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, আপনি প্রেগনেন্সিতে আছেন কিনা।
একজন জানতে চেয়েছেন গর্ভপাতের পর সাত মাস পার হয়েছে। এখন চেষ্টা করেও গর্ভধারণ হচ্ছে না। আমরা সাধারণত একটি বাচ্চা নষ্ট হওয়ার পর ছয় মাস সময় দিতে বলি। এরপর প্রেগনেন্সির জন্য চেষ্টা করতে বলি। আপনারা ন্যাচারালি আরও তিন-ছয় মাস দেখবেন। স্বামী-স্ত্রী এক জায়গায় থাকবেন। দুই মাসিকের মধ্যবর্তী ওভ্যুলেশনের সময় একদিন পরপর ইন্টারকোর্স মেনটেন করবেন। এটি নিয়মিত করতে হবে।
এ সময়ে ফলিক এসিড খেতে হবে। এর সাথে মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, তা দেখে নিতে হবে। সব ঠিক থাকলে আপনারা আরও ছয় মাস ন্যাচারালি চেষ্টা করবেন। তারপরও সফল না হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। স্ত্রীর বয়স ২৫-৩০ বছরের বেশি এবং এমন সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আলাদা জায়গায় বসবাস করলে এবং সপ্তাহে একদিন কিংবা মাসে দুদিন মিলিত হলে প্রেগনেন্সি সম্ভব না।