কীভাবে বুঝবেন নীরব ঘাতক হেপাটাইটিসে আক্রান্ত কিনা?

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-07-28 21:09:59
কীভাবে বুঝবেন নীরব ঘাতক হেপাটাইটিসে আক্রান্ত কিনা?

এই ভাইরাসগুলো যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন দুই ধরনের লক্ষণ বোঝা যায়। একটা হচ্ছে- স্বল্প মেয়াদি আরেকটা দীর্ঘমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদির ক্ষেত্রে সবগুলো রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম।

প্রতি বছর দেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাসজনিত লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের বাস্তবতাও এমন।

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস নির্মূল করার বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। কাজটি বলা সহজ হলেও করা কঠিন। কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ হেপাটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’ ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা জানেই না।

কীভাবে বুঝবেন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত কিনা?

শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক পরিপাকতন্ত্র ও লিভাররোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ ডক্টর টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, হেপাটাইসি ‘এ’ এবং ‘ই’ ভাইরাস সাধারণত খাদ্যবাহিত বা পানিবাহিত রোগ। দূষিত খাদ্য বা দূষিত পানি গ্রহণ করার ফলে এ রোগ হয়।

তিনি বলেন, ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস হলো রক্তবাহিত রোগ। যে রক্তের মধ্যে ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাসের জীবাণু আছে, সেই দূষিত রক্ত যদি কারও সংস্পর্শে আসে, তখন এই রোগ হয়। এটাকে রক্তবাহিত রোগ বলে।

অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, এই ভাইরাসগুলো যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন দুই ধরনের লক্ষণ বোঝা যায়। একটা হচ্ছে- স্বল্প মেয়াদি আরেকটা দীর্ঘমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদির ক্ষেত্রে সবগুলো রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম।

তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদির ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণগুলো প্রথমে দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে- রোগীর প্রথম দিকে জ্বর হবে, গায়ে ব্যথা থাকবে, ক্ষুধামন্দা হবে, প্রসাবের রং হলুদ বা লাল হবে। পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে। বমি হয়, ওজন কম হয়।

এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, দীর্ঘমেয়াদির ক্ষেত্রে প্রথম দিকে কোনো লক্ষণ হয়তো নাও হতে পারে। হয়তোবা টুকটাক কোনো লক্ষণ হয়েছে, যেগুলো রোগী সহজে বুঝতে পারে না।

তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদির ক্ষেত্রে কিছু খারাপ লক্ষণ রয়েছে, যেমন- অতিরিক্ত দুর্বল লাগে শরীর, ক্ষুধামন্দা লাগে। রোগীর জন্ডিস হতে পারে। হাতে পায়ে পানি আসতে পারে। রক্ত বমি হতে পারে। অনেক সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।

অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষণের ক্ষেত্রে পেটের ডান দিকে উপরিভাগে লিভারটা বড় হয়ে যায়। পেটে পানি আসে, পেট ফুলে যায়। এমনকি ক্যানসারও হয়ে যায়। এই সময় আমরা ধরে নিই যে, লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও দেখুন: