হঠাৎ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কী করবেন
ছবি : সংগৃহীত
পেটে ব্যথা, অস্বস্তি হলেই আমাদের প্রথম মনে হয়, নিশ্চয়ই পেটে গ্যাস হয়েছে। আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। রমজানে বেশিরভাগ মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এসেছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে নানা পদের খাবার। ঝাল-মিষ্টি এসব খাবার হঠাৎ করেই পেটে বাড়তি পরিমাণে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে পেট ফাঁপা, পেট চিনচিন করা, কোষ্টকাঠিন্য, টয়লেট পাতলা হওয়ার মতো ইত্যাদি সমস্যা।
চিকিৎসা বিদ্যায় পেট ব্যথা মানেই গ্যাসের ব্যথা নয়। আর এজন্য দিনের পর দিন না বুঝে অ্যান্টাসিড বা ওমিপ্রাজলের মতো গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়াটা ঠিক নয়। পেটের ওপরের দিকে ব্যথা হলে তা পেপটিক বা গ্যাস্ট্রিক আলসার ছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে। যেমন: নন-আলসার ডিসপেপশিয়া হলে পেটে অস্বস্তি, পেট ভার, বুকজ্বালা, বমি ভাব হতে পারে। পিত্তথলিতে পাথর থাকলেও এ ধরনের উপসর্গ হতে পারে। এমনকি কখনো কখনো হৃদরোগেও বুকে ব্যথা না হয়ে পেটের ওপরের দিকে ব্যথা হয় এবং রোগীকে ভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। যকৃৎ বা অগ্ন্যাশয়ের কোনো রোগে পেটের উপরিভাগে ব্যথা হতে পারে। মানসিক টানাপোড়েনেও কিন্তু পেট ব্যথা বা জ্বালা করে।
মেনে চলুন কিছু পরামর্শ
অ্যাসিডিটি রোধে ভাজাপোড়া, তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবর খেতে হবে। তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ওমিপ্রাজল জাতীয় কিছু ওষুধ খেয়ে নিলে সমাধাান হতে পারে।
বাসায় বানানো খাবার সবচেয়ে উত্তম। অবশ্যই পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাদ্য হজম হতে গিয়ে অনেক সময় লাগবে এবং অনেক সময় সব খাদ্য হজম না হয়ে সারা দিন এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এতে সারা দিন বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। ঢেকুরের সঙ্গে খাবার চলে আসেতে পারে। বলেন, অতিরিক্ত খাবার খেলে সেটা শরীরে মেদ হিসেবে জমা হবে এবং ওজন বাড়বে। ওজন বাড়ালে শরীরের সবগুলো অঙ্গই কার্যক্ষমতা হারাতে পারে।
বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে একবারে কোনোভাবেই বেশি খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। নিয়মিত যেসব খাবারের সাথে আমরা অভ্যস্ত, সেগুলো খেতে হবে। তেল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। একবারে পেট পুরে না খেয়ে প্রয়োজনে অল্প করে কয়েকবার খাওয়া যেতে পারে। অবস্থা গুরুতর মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।