করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা, জেনে নিন ৬ উপসর্গ
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে সরকার ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ জারি করেছে। এরপরও বিপুল সংখ্যক মানুষের ঈদুল ফিতরে গ্রামে যাওয়াকে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি হিসেবে বর্ণনা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ বছর বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, করোনা বাচ্চাদের খুব গুরুতর অসুস্থ করতে পারছে না। কিন্তু এরপরও সতর্ক থাকা জরুরি।
করোনায় বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণত মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। অভিভাবকরা যেগুলোকে প্রথমে করোনার উপসর্গ বলে বুঝতেই পারছেন না। ফলে তাদের বেশ ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এখানে করোনায় বাচ্চাদের মধ্যে দেখা দেওয়া ছয়টি উপসর্গ ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হলো—
১. পেটে ব্যথা: এ বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ পেটের সমস্যা। বাচ্চাদের মধ্যেও সেটা দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়া, পেটে ব্যথা, হজমে সমস্যা, পেট ভারি লাগা ইত্যাদি হতে পারে করোনার উপসর্গ। হঠাৎ যদি বাচ্চা খেতে না চায় এবং খিদে না থাকার কথা জানায়, তাহলে সতর্ক হতে হবে।
২. ডায়রিয়া: বাচ্চাদের মধ্যে বমি এবং খুব বেশি পেট খারাপের লক্ষণ দেখলে সাবধান হতে হবে। বাচ্চাদের করোনার সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ ডায়রিয়া।
৩. জ্বর: জ্বর বেশিরভাগ ভাইরাল অসুখের অন্যতম উপসর্গ। তবে করোনার কারণে জ্বর এলে সঙ্গে কাঁপুনি ও ক্লান্তিভাব দেখা যাচ্ছে। তাই সতর্ক থাকুন। এমনিতে বাচ্চাদের একটু বেশি জ্বর আসতেই পারে। কখনো কখনো দেহের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রিও ছুঁতে পারে। তবে সাধারণত দু-তিন দিনের মধ্যে এ জ্বর ঠিক হয়ে যেতে দেখা যায়। তবে আপনার সন্তানের জ্বর যদি ৫ দিনের বেশি থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৪. কাশি-ঠান্ডা: প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের মধ্যে করোনার জন্য ফুসফুসে সংক্রমণ খুব একটা শোনা যায়নি। তবে ঠান্ডা লাগা, টানা কাশি, গলা ব্যথার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি জ্বর বা পেটের সমস্যা থাকলে অবশ্যই করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে।
৫. ক্লান্তভাব: বাচ্চা কি হঠাৎ খুব ক্লান্ত বোধ করছে? অল্পতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে? টানা ঘুমের সমস্যা হচ্ছে? এগুলো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। তাই দেরি না করে চিকিৎসকরে শরণাপন্ন হতে হবে।
৬. র্যাশ: বাচ্চাদের মধ্যে র্যাশ বা অন্য ত্বকের সমস্যা এবং ‘কভিড টোজ’ প্রথম ঢেউয়ে দেখা গিয়েছিল। নানা রকম ত্বকের সমস্যা বাচ্চাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ। এমনিতে বাচ্চাদের নানা রকম র্যাশ লেগেই থাকে। তবে যদি তাদের শরীরে কোনো অদ্ভুত লালচে দাগ বা ফুশকুরি বা র্যাশ চোখে পড়ে, তাহলে সতর্ক হতে হবে।
হাত-পায়ের নখ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে কি না, তাও খেয়াল রাখতে হবে। কোনো অবস্থাকেই অবহেলা করা যাবে না। কারণ বাচ্চারা নিজের সমস্যা বলতে পারে না। এজন্য তাদের প্রতি অভিভাবকদেরই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে।