ভ্যাকসিন নেয়ার পর চোখ লাল হলে ভয়ের কিছু নেই
ফাইল ছবি
করোনা মহামারীতে মাস্ক পরা গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা। কিন্তু মাস্ক পরতে গিয়ে অনেকে চোখের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তার মধ্যে বেশিরভাগ সমস্যা চোখ শুকিয়ে যাওয়া ও ভ্যাকসিন দেয়ার পর চোখের নিচের অংশ লাল হওয়া। তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ভয়ের কিছু নেই।
ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের গ্লকোমা বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও সহকারী অধ্যাপক ডা. তানিয়া রাহমান ছড়া ডক্টর টিভিকে বলেন, আমরা মাস্ক নতুন নতুন ব্যবহার করা শুরু করেছি। এতদিন আমাদের এই অভ্যাসটা ছিল না। মোটামুটি অনেক দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের সবাইকে এই মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। অনেক সময় নাকের উপরের জায়গাটুকুতে যদি মাস্ক টাইট হয়ে থাকে, তখন চোখের নিচের পাতার জায়গাটা পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন চোখের লেয়ারে একটু বার্নিং হয়। যা অস্বস্তি কর। তাই মাস্ক পরার সময় আমাদের একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে, যেন নাকের উপরের দিকের অংশটুকু খুব বেশি টাইট না থাকে।
এ ব্যাপারে ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের গ্লকোমা বিভাগের প্রধান, গ্লকোমা বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডা. মো. জাফরুল হাসান ডক্টর টিভিকে বলেন, আমরা ডিজিটাল যুগে আছি। আমাদের বেশির ভাগ সময়ই ল্যাপটপ, কম্পিউটার, স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয়। এটাও চোখ শুকিয়ে যাওয়ার একটা কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
আমাদের চোখের দুইপাশে দুইটা গ্ল্যান্ড আছে, সেখান থেকে অনবরত পানি সিক্রেশন হয়ে চোখে দুইটা নালি আছে, সেখান থেকে নাক দিয়ে চোখে চলে যায়। এই পানিটা সর্বক্ষণ আসছে এবং পানিটাকে ধরে রাখার জন্য বাইরে থেকে একটা তৈলাক্ত সিক্রেশন হচ্ছে। এ সবকিছু মিলে চোখটাকে ভেজা ভেজা রাখছে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন কোন কারণে যদি সিক্রেশন বন্ধ হয়ে যায় বা দেখা যাচ্ছে সিক্রেশন হচ্ছে কিন্তু পানিটাকে ধরে রাখতে পারছে না, শুকিয়ে যাচ্ছে। এটা কিছু রোগের কারণেও হয়। যেমন আর্থাইটিসের বিভিন্ন রোগের কারণে হয়ে থাকে। থাইরয়েড রোগের কারণেও এটি হয়ে থাকে।
এসব রোগের কারণে চোখে যে স্বাভাবিক পরিবেশ আছে সেটা আর থাকছে না। এতে চোখ শুকনা লাগে। এজন্য আমাদের সঠিক কারণ নির্ণয় করে চোখের চিকিৎসা নিতে হবে।
করোনার ভ্যাকসিন নিলে অনেকের চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যায়। এ সম্পর্কে ডা. জাফরুল হাসান বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অনেকের চোখ কিছুটা লাল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমরা কিছুটা সাপ্লিমেন্ট এবং জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকি। এতে রোগী কিছুটা স্বস্তি পায়, তার অবস্থার উন্নতি হয়।