টিকা নেওয়ার আগে-পরে কী খাবেন
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন। আরও বহু মানুষ টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সবাই খুবই চিন্তিত। সবাই নিশ্চিত হতে চাইছেন, টিকা নেওয়ার পর যেন শারীরিক কোনো ক্ষতি না হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে টিকার কার্যকারিতার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের সংযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছন, টিকা নেওয়ার আগে-পরে অনেক পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কারও মত, টিকা নেওয়ার আগে দুধ খেয়ে নিতে হবে। টিকার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের সম্পর্ক নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে টিকা নেওয়ার আগে ও পরে কী খাওয়া উচিত; কী কী পরিহার করা দরকার, তা তুলে ধরা হলো—
১. পর্যাপ্ত পানি ও ফলমূল : গবেষকদের মতে, টিকা নেওয়ার আগে-পরে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। পর্যাপ্ত পানি ও ফল খেলে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো শরীরে নেতিবাচক ক্রিয়া করতে পারে না। তবে যাদের কিডনি-সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার পর অনেকের শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভূত হয়। এ সময়ে শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে টিকাগ্রহীতা বিপদে পড়তে পারেন।
২. মদপান পরিহার : এক গবেষণায় বলা হয়, অতিরিক্ত মদ শরীরে রোগপ্রতিরোধে ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়। এজন্য টিকা নেওয়ার আগে ও পরে মদপান করা কোনোভাবেই উচিত নয়। যাদের শরীরে ইমিউনিটি দুর্বল তারা করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো : ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, মহামারীর সময়ে মানুষের উচিত খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা। কারণ সুস্থদেহে টিকা নিলে সে টিকার কার্যকারিতা ভালো হয়। যেসব খাবারে পর্যাপ্ত আঁশ আছে, সেসব খাবার খাওয়া উচিত। তবে এ সময় জাঙ্কফুড ও উচ্চমাত্রার ক্যালরি রয়েছে এমন প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
৪. মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার : অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে এমন খাবার স্বাভাবিক সময়েই অতটা ভালো নয়। মহামারীর সময় চর্বিযুক্ত খাবার সম্ভব হলে এড়িয়ে যেতে বলেন গবেষকরা। খাবারে অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
৫. খাবারে ভারসাম্য : এক ডোজ থেকে আরেক ডোজ টিকা নেওয়ার এ সময়ে গ্রহীতার উচিত কর্মক্ষম থাকা। আর এটা সম্ভব একমাত্র পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে। অনেকে আছেন হতাশা থেকে চিনিযুক্ত খাবার বেশি খান। মহামারীর এ সময়ে তাদের ঝুঁকি বেশি। খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখা খুবই জরুরি।