একজিমা কেন হয়, কী করলে সুস্থ থাকা যায়
ছবি : সংগৃহীত
একজিমা হয় মূলত ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবে। থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি ৬, বি ১২ জিঙ্ক এমনকি ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির কারণেও হতে পারে। খাবারের সঙ্গেও এটির সম্পর্ক রয়েছে। তবে ব্যক্তি খাবার ভিন্ন আচরণ করে। একজনের যে খাবার খেলে একজিমা হতে পারে; আরেকজন একই খাবারে এমনটি নাও হতে পারে। তার ক্ষেত্রে অন্য খাবারে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে সব ধরনের একজিমার চিকিৎসা রয়েছে। খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলেও দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকা সম্ভব। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমএমএমইউ) সাবেক উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার।
একজিমা শরীরে ছোট আকারে দেখা দেয়। সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না থাকলে এন্টিবায়োটিক লাগে না। ভিটামিন ডি কিংবা মাল্টি ভিটামিন খেলে উপকার মেলে। এগুলোর সঙ্গে এন্টি হিস্টামিন যেমন, ফেক্সো, ফেনাডিন খাওয়া যেতে পারে। সংক্রমণের স্থান দিনে দু-একবার হালকা গরম পানিতে সামান্য পটাশিয়াম পারম্যাগনেট মিশিয়ে পরিষ্কার করে মাইল্ড স্টেরয়েডের সঙ্গে এন্টিবায়োটিক মিক্স মলম লাগালে সহজেই ভালো হয়ে যায়। ডার্মাসল এন জাতীয় ওষুধ একজিমার ক্ষেত্রে একটু বাড়তি কাজ করবে।
ভিটামিনের অভাবে একজিমা হলে বাজারে এখন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যাতে সব ধরনের ভিটামিন থাকে। এগুলো খেলে চামড়ার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ভালো সুফল পাওয়া যায়।
খাবারের সঙ্গে অবশ্যই একজিমার সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু অনেক চিকিৎসক খাওয়া বারণের লম্বা তালিকা রোগীর হাতে ধরিয়ে দেন। এতে রোগীর পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বড় বিষয়, এক এক মানুষের এক এক খাবারে এলার্জি হয়। যার যে খাবার খেলে এমন হয়, সেটি বর্জন করা যেতে পারে। কার কোন খাবারে একজিমা হয়, পরীক্ষার (প্যাচ টেস্ট) মাধ্যমে তা শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ সঠিক ফলাফল আসে। সুতরাং অর্থ ও সময়ের অপচয় ঠেকাতে এ পথে না যাওয়ায় ভালো। একান্ত বাধ্য হলে ভিন্ন কথা।
এটোপিক একজিমা সহজে ভালো হয় না। এর বাইরে অন্যান্য ধরনেরগুলো স্থায়ীভাবে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু একজিমা ক্রনিক অবস্থায় থাকে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি হতে পারে এবং অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের অধীনে এ চিকিৎসা নিতে হবে। ধৈর্য হারালে চলবে না।