যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্ষত হয়েছে
পাকস্থলির ক্ষত (পেপ্টিক আলসার) মানে পাকস্থলি ও এর পরের অংশে কোন ক্ষত বা প্রদাহ। পাকস্থলির গায়ের আবরণ ও নিঃসৃত অ্যাসিডের ভারসাম্য নষ্ট হলেই এই আলসার হয়।
পাকস্থলির ক্ষত (পেপ্টিক আলসার) দুই ধরনের। একটা হল স্টমাক আলসার, স্টমাকের আলসারকে আবার বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার। আরেকটি হল ডিওডেনাম আলসার। এই দুটোকে একত্রে বলা হয় পেপ্টিক আলসার বা পাকস্থলির ক্ষত ।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আনওয়ারুল কবীর ডক্টর টিভিকে বলেন, স্টমাক থাকে ওপরের অংশে আর ডিউডেনাম থাকে নিচের অংশে। উপরের অংশে যখন স্টমাক থাকে তখন খাবার খেলেই একটা ক্ষত জায়গায় খাবারটা যাচ্ছে।
দেখা যায়, খাবার খেলেই ব্যথা করে। গ্যাস্ট্রিক আলসারের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে, খাবার খেলেই পেটে ব্যথা করে। খাবারটা স্টমাক পার হয়ে ডিউডেনামে যায়, এ সময় কিছুটা সময় চলে যায়। যার জন্য ডিউডেনাম আলসারের ক্ষেত্রে খালি পেটে পেট ব্যথা করে। দু’টি ক্ষেত্রেই পেটে ব্যথা করে। একটা হলো খালি পেটে, আরেকটি খাবার পর পেটে ব্যথা করে।
এর সাথে আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. মো. আনওয়ারুল কবীর। যেমন, খাওয়ার রুচি কমে যায়, অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি এমন হলে বমি হয়।
ডা. আনওয়ারুল কবীর আরও বলেন, এখন আমাদের দেশে যেসব ওষুধ রয়েছে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আসার আগে পেপটিক আলসার একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ ছিল। তখন বেশিরভাগ মানুষই দীর্ঘমেয়াদি আলসারে ভুগতেন, বমি হতো। ৪০ বছর আগে পেপটিক আলসার রোগীদের অপারেশন হত। এখন আলসারের চিকিৎসার উন্নতির ফলে অপারেশন করতে হয় না।