আমরা চাচ্ছি না একটি ভ্যাকসিনও অপচয় হোক: স্বাস্থ্য সচিব
সারাদেশে এক হাজার ১০টি হাসপাতালে ৫০ হাজার কর্মচারী টিকাদান কাজে সম্পৃক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে যাতে কেউ খারাপ মন্তব্য করতে না পারে, সেজন্য যেসব জায়গায় বেশি বুথের প্রয়োজন সেখানে বুথ বাড়ানো হচ্ছে। যেহেতু আমাদের হাতে সময় আছে, সেজন্য আমরা খুব ধীরে যাচ্ছি। টিকা যেন অপচয় না হয় সেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ‘আমরা চাচ্ছি না একটি ভ্যাকসিনও অপচয় হোক।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
টিকার দ্বিতীয় চালান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘ আমাদের টিকার পরবর্তী চালানে ৫০ লাখ ডোজ আসা নিয়ে কোনো শঙ্কার অবকাশ নেই। টিকার দ্বিতীয় চালানে ৫০ লাখ ডোজ চলতি মাসের শেষে বা পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে আসবে।’
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ডোজ টিকার প্রথম চালানে ৫০ হাজার ডোজ গতমাসে এসেছে। চুক্তি অনুযায়ী বাকি টিকা প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে আসার কথা। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পারিচালক নাজমুল হাসান পাপন গত সোমবার বলেছিলেন, দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা আনা হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি এই টিকা আসবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরী কমিটি প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকার মধ্যে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান রাখার সুপারিশ করায় টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য সচিব।
তিনি বলেন ‘সময় যেহেতু আমাদের হাতে আছে আরও সুন্দরভাবে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারব।’
টিকার জন্য নিবন্ধন করতে ৪০ বছরের বয়সসীমা তুলে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘আমরা এখনও এটা করিনি। কারণ আমরা চাচ্ছি, একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত এ নিয়ম অনুযায়ী টিকা কার্যক্রম চালাতে।
আরও দেখুন:
- ডক্টর-টিভি
- প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
- মেডিকেল-কলেজ
- স্বাস্থ্যমন্ত্রী-জাহিদ-মালেক-স্বপন
- স্বাস্থ্যসেবা
- স্বাস্থ্য-সচিব
- করোনা-ভ্যাকসিন