কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট নাকি হার্ট অ্যাটাক, পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত
বয়স চল্লিশের ঘরে না যেতেই বেশিরভাগ মানুষ এখন হার্টের সমস্যায় পড়েন। মূলত অনিয়মতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থা বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভাসের কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। হার্ট অ্যাটাকে প্রাণহানিও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো সমস্যা প্রায় একই রকম শোনায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৭ শতাংশ ৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যার মধ্যে কম বয়সের মানুষও রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলকে এই সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হয়েছে। কেউ কেউ হার্ট অ্যাটাক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টকে এক মনে করেন। যদিও দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। চলুন জেনে নেয়া যাক এসবরে পার্থক্য-
হার্ট অ্যাটাক হলো
হার্ট অ্যাটাককে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালনে উদ্ভূত একটি সমস্যা। হার্টে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী ব্লক হয়ে যায়, যার ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হার্টে পৌঁছাতে পারে না।
হার্ট অ্যাটাক কিছু উপসর্গ রয়েছে যা হলো
বুকে ব্যথা
বমি বমি ভাব
ঘাম
শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো
হৃৎপিণ্ড হঠাৎ শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞা হারান রোগী। শারীরিক এই অবস্থাকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। অনেকেই জন্মগত হার্টের সমস্যা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিছু উপসর্গ রয়েছে যা হলো-অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, সাড়া না দেওয়া, অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস, মুখ নীল হয়ে যাওয়া, নাড়ি কম হওয়া ইত্যাদি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সিপিআর, হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন হয়।