যে কারণে বারবার গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়

ডা. তানিয়া রহমান মিতুল
2021-02-15 12:21:09
যে কারণে বারবার গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়

বারবার গর্ভাবস্থা নষ্ট হওয়ায় অনেক নারীই হতাশায় ভোগেন। চিকিৎসকরা গর্ভবতী হবার ২০ সপ্তাহের মধ্যে তিন বা ততোধিক বার নষ্ট হয়ে যাওয়াকে রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস বলে থাকেন। রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লসের কারণ সম্পর্কে ডক্টর টিভির সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. কোহিনূর বেগম।  সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. তানিয়া রহমান মিতুল

ডক্টর টিভি: রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস কী?

ডা. কোহিনুর বেগম: গর্ভবতী হবার ২০ সপ্তাহের আগে তিন বা ততোধিক বার গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস বলে।  সাধারণত ১২থেকে ১৪ সপ্তাহের আগেই গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়।  রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লসে ব্যক্তি, পরিবার এবং সামাজিক জীবনে অনেক প্রভাব রয়েছে। এর ফলে নারীরা অনেক হতাশায় ভোগেন। সংসার জীবনে মনোমালিন্য হয়। এছাড়া, রিকারেন্ট প্রেগনেন্সির ফলে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা  হয়, সেগুলোও ব্যয়বহুল।

ডক্টর টিভি: রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লসের কারণ কী?

ডা. কোহিনুর বেগম: ইউটেরাসের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস হয়ে থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হরমোন ডিজঅর্ডার ,পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এর কারণে রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস হয়।  ড্রাগ, ধুমপান, সাইকলজিক্যাল ফ্যাক্টরও রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লসের কারণ।

ডক্টর টিভি: রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস হলে কিভাবে শনাক্ত করতে হবে?

ডা. কোহিনুর বেগম: সাধারণত তিনটি ক্লিনিক্যাল প্রেগনেন্সি লসের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যার কারণগুলো সনাক্ত করতে হয়।  যাদের ৩৫ বছর বয়স তাদের দুইটি বাচ্চা হওয়ার পর পরীক্ষা করানো উচিত।  গর্ভবতী মায়ের বয়স যদি ৩৫ বছরের বেশি হয় তাহলে তার ওভাম ভাল ছিল না। এছাড়াও অনিয়মিত পিরিয়ডও গর্ভাবস্থা নষ্ট হবার একটি কারণ।

ক্রোমোসোমাল ডিফেক্ট অর্থাৎ ১২ সপ্তাহের আগে যদি গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়, তবে সেটা ক্রোমোজোমাল ডিফেক্ট এর কারনে হয়ে থাকে। আর  ১২ সপ্তাহের পর গর্ভাবস্থা নষ্ট হবার কারণ হচ্ছে ফসফোলিপিড সিনড্রোম।  অতিরিক্ত ওজন থাকলেও রিকারেন্ট প্রেগনেন্সি লস হয়ে থাকে।  এছাড়াও ইউটেরাস এনাটোমিকাল ডিফেক্ট, কিডনি এনোমেলি ডিফেক্ট, ওভারিয়ান রিজন, ইমিউনোলজিক্যাল রিজন ইত্যাদি।


আরও দেখুন: