হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মধ্যে পার্থক্য কী?
ফাইল ছবি
আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্রেইন স্ট্রোক। এটা অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। আমেরিকার মতো জায়গায় যেখানে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রতি বছর ৭ লাখ ৯৫ হাজার স্ট্রোক রোগে আক্রান্ত হয়। ছয় লক্ষ দশ হাজার নতুন পেশেন্টের স্ট্রোক হয় আর বাকিদের দেখা গেলো ইতোপূর্বে স্ট্রোক হয়েছিল।
স্ট্রোক নিয়ে অনেক মিথ আছে। অনেকে স্ট্রোক হলে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে যায়, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে যায়। কারণ, বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন স্ট্রোক একটি হার্টের অসুখ।
এ বিষয়ে ডক্টর টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম।
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মধ্যে পার্থক্য
ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্ট্রোক আসলে হার্টের থেকে আলাদা। হার্ট অ্যাটাক মানে শুধু হার্টের রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু ব্রেইনের ক্ষেত্রে বিষয়টা আসলে ডাইভার্স। ব্রেইনের রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলেও যেমন স্ট্রোক হয়, রক্তনালী ছিঁড়ে গেলেও স্ট্রোক হয়। রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলে যে স্ট্রোক হয় তার ঘটনা অনেক বেশি। প্রায় ৮৫ ভাগ। রক্তনালী ছিঁড়ে গেলে যেটা হয় সেটা প্রায় ১৫ ভাগ। তো আমরা রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই বেশি হাইলাইট করবো কারণ এটা অনেক বেশি। এটা দেরিতে যে চিকিৎসা সারা বিশ্বব্যাপী হচ্ছে সেটা ডায়ামেট্রিক সেটার রেজাল্টও অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, একটা হচ্ছে আইভি থ্রম্বোলাইসিস, যেটা আমি বলেছি। এটা আসলে এভারেজ সেটআপ দরকার। আমি চাইলে আমি জেনারেল লেভেলে বা আমার যদি একটা এভারেজ সেটআপ থাকে আমি তার চেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটা করতে পারি। আমার জানা হলো। বি ফাস্ট এটা আসলো, একটা সিটি স্ক্যান করলাম। আমি নিশ্চিত হলাম যে রক্তক্ষরণ হয়নি। রক্তনালী বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমি থ্রম্বোলাইটিক ড্রাগ দিবো আর কী। এটাই হার্টের সাথে পার্থক্য। হার্টে রক্তক্ষরণ হয় না। তো আমাকে এটা আসলে নিশ্চিত হওয়ার দরকার রক্তক্ষরণ হয়নি এটা জানলে আমি থ্রম্বোলাইসিস ড্রাগ দিবো বা আরো ইকোস্পিন টাইপের ওষুধ যেটা আমরা সবাই জানি আসলে এটা দিবো। আর যদি আমি ঢাকায় থাকি বা আমি বড় শহরে থাকি যেখানে আমার সেটআপ অনেক ভালো। যেমন হার্টে রিং পড়ে। এখন হার্ট অ্যাটাক হলে আমরা ইমিডিয়েট রোগীকে কিউর করে নিয়ে আসতে পারি। তো আমরা ওইরকম সেন্টারে গেলাম যেখানে ভালো ব্যবস্থা আছে। রোগী আসার সাথে সাথে সিটি স্ক্যান বা এনিসিলিয়ারি সব পরীক্ষা করে নিয়ে গেলাম। গিয়ে আমি ধমনীর মাধ্যমে যেখানে রক্তটা জমাট বেঁধে আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আর হেমোরেজিক স্ট্রোক আমরা অনেকদিন থেকেই করছি, অপারেশন করছি, এটার একটা পর্যায়ে অলরেডি আমরা আছি। তো ইস্কেমিক স্ট্রোক যদি এখন আমরা বলি। ইস্কেমিক স্ট্রোক মানে বেসিক আমি যদি সহজ ভাষায় বোঝাতে চাই, ব্রেইনে যে চারটা রক্তনালী আছে, চারটা রক্তনালী গিয়ে ব্রেইনকে নারিশ করে। সামনে দুইটা, পেছনে দুইটা। এরা বিভিন্নভাবে ব্রাঞ্চ হয়ে ব্রেইনে ছড়িয়ে যায়। এক দিয়ে ভালো, আল্লাহই আসলে সব প্রটেকটিভ সিস্টেম দিয়ে রাখেন।