যেসব কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, লক্ষণ কী কী?

2020-09-19 01:25:07
যেসব কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, লক্ষণ কী কী?

প্রতীকী ছবি

হার্ট অ্যাটাক শব্দটির সাথে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত।  কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ভয়াবহতা কিংবা আকস্মিকতায় আমাদের কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। হার্ট অ্যাটাক নিয়ে কী কী জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে তা বেশিরভাগ মানুষ জানেন না।  যে কারণে আমাদের অকালে হারিয়ে ফেলতে হয় অনেক স্বজনদের।   হার্ট অ্যাটাকের জরুরি চিকিৎসা নিয়ে ডক্টর টিভির স্বাস্থ্য সমাধান অনুষ্ঠানের ১২৪তম পর্বে কথা বলেছেন রাজধানীর সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম মাহমুদ।  সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. আনিশা নওশিন রিমি

ডক্টর টিভি: স্যার, প্রথমেই জানতে চাইবো, হার্ট অ্যাটাক কী? এবং একজন রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এটা কিভাবে আমরা বুঝতে পারবো?

ডা. মোহাম্মদ সেলিম মাহমুদ: হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে হার্টের রক্তনালীর একটা রোগ।  যেখানে হার্টের রক্তনালীর ভেতরে চর্বি জমে সেখানে প্লাগ হয় এবং রক্তনালী বন্ধ হয়ে হার্টের মাংসপেশী যেখানে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং হাটের্র মাংসপেশী মারা যায়।

হার্টের একটা অংশ যখন মারা যায় বা ড্যামেজ হয়ে যায়, সেটাকে আমরা বলি হার্ট অ্যাটাক।  আর এটার কারণ হচ্ছে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া।  আর এই রক্তনালী বন্ধ হয়ে যখন হার্ট অ্যাটাক হয় তখন মানুষ বুঝতে পারে।  তার বুকে ব্যথা হতে পারে।  বুকে চাপ অনুভব হতে পারে।  তার সাথে ঘাম দিতে পারে এবং সে বুকের ব্যথাটা বাম দিকে চলে যেতে পারে।  গলায় চলে যেতে পারে, পিঠে চলে যেতে পারে।  কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডান দিকের রক্তনালীতে যখন ব্লক হয়, তখন পেটের দিকেও ব্যথা হতে পারে।  তীব্র ব্যথা।  রোগী মনে করবে আমি মারা যাচ্ছি।  আর তার সাথে রোগীর প্রেশার কমে যেতে পারে, রোগীর কাশি হতে পারে, এই রকম উপসর্গ নিয়ে রোগী হাসপাতালে আসতে পারে।

ডক্টর টিভি: স্যার, কী কী কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় বা হার্ট অ্যাটাকের রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে কী কী বিষয় কাজ করে?

ডা. মোহাম্মদ সেলিম মাহমুদ: হার্ট অ্যাটাকের ব্যাপারটা এরকম নয় যে, একটা নির্দিষ্ট কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। এই রোগটাকে বলা হয় মাল্টিফ্যাক্টিরিয়াল ডিজিস।  তার মানে অনেকগুলো ফ্যাক্টর এই রোগের সাথে জড়িত।  কিছু ফ্যাক্টর আছে যে ফ্যাক্টরগুলো আমরা পরিবর্তন করতে পারি না।  যেমন যাদের পরিবারে হার্টের ডিজিস আছে।  বাবা—মা, ভাই—বোন বা রক্তের কারো সম্পর্কে্যর তাদের যে একটা জেনেটিক বা বংশগত রিস্ক ফ্যাক্টর, সেটা কিন্তু থেকেই যাবে।  সেটা আমরা পরির্বতন করতে পারবো না।  কিন্তু কিছু কিছু পরিবর্তনশীল রিস্ক ফ্যাক্টরস (ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়) আছে যে ফ্যাক্টর গুলোর কারণে সময়ের আগেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

রক্তনালীতে চর্বি জমে রক্তনালীতে ব্লক তৈরি হতে পারে।  সেই কারণ গুলোর মধ্যে প্রধান চারটি কারণ হচ্ছে, হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ। ডায়াবেটিস বা রক্তের গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়ার যে রোগ আছে সেটা।  তারপরে ধূমপান এবং রক্তের কণিকায় কলস্ট্রেরল বা রক্তের কণিকায় চর্বির মাত্রা যদি বেশি থাকে, এই কারণ গুলো যেটা কিন্তু আমরা পরিবর্তন করতে পারি। এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো যেমন আমরা হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তারপর রক্তের গ্লুকোজ আমরা চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, ধুমপান কিংবা রক্তের যে কলস্ট্রেরলের মাত্রা সেটিও আমরা ওষুধ দিয়ে এবং ডায়েটের অভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ডক্টর টিভির পুরো অনুষ্ঠানটি ভিডিওসহ দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন


আরও দেখুন: